বিশ্বকাপ জ্বরেও ছটপুজোয় নজর মমতার। ছবি: সংগৃহীত।
ছটপুজোয় এ রাজ্য দু’দিনের ছুটি দেয়, যা কেন্দ্রের সরকারও দেয় না বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতা বন্দর এলাকার তক্তাঘাট ও দহিঘাটের ছটপুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। তক্তাঘাটের অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন মমতা। পরে দহিঘাটে গিয়ে নিজেই ছটদেবীর পুজোয় অংশ নেন। গোটা দেশ ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত হলেও, ছটপুজোয় ব্রতী দেশের একাংশ মানুষ। তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ করতেই দুপুরে সেখানে যান মমতা।
নিজের বক্তৃতায় মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের জানার জন্য বলছি, সোমবারও ছুটি থাকবে। ছটপুজো উপলক্ষে দু’দিন ছুটি দিয়েছি। আপনারা জানেন, ছটপুজোর জন্য দিল্লিও কোনও ছুটি দেয় না। আমাদের সরকার সব পুজোর জন্য ছুটি দেয়। ঈদের জন্য দু’দিন ছুটি দিই। ছটের জন্য, আরও অনেক পুজোর জন্যও ছুটি দিই। কালীপুজোতেও ছুটি দিই। তাই আপনারাই আমার ভরসা। বাংলায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা আমাদের থেকেও বেশি বাংলাকে ভালবাসেন।’’ প্রসঙ্গত, কলকাতা বন্দরের যে এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী ছটপুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন সেখানে সিংহভাগ হিন্দিভাষী মানুষের বাস। রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করেন, হিন্দিভাষীদের সমর্থন সরকারের দিকে টানতেই মুখ্যমন্ত্রী ছটপুজো তাঁর সরকারের ছুটি দেওয়ার কথা উল্লেখের পাশাপাশি, মোদী সরকার যে ছুটি দেয় না তার উল্লেখ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ছটপুজোয় ৩৬ ঘণ্টা উপবাস রেখে এই পুজো করেন মা-বোনেরা। আমিও তাদের সাথ দেওয়ার জন্য কিছু খাইনি। আমার নামে গঙ্গাসাগরেও পুজো হয়। যে দেশে গঙ্গা প্রবাহিত হয়, সেই দেশ সর্বদা পবিত্র। তাই তাকে আমরা প্রণাম করি। আর উৎসবের দিনে আকাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে। সবকিছু ভালই হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ছটপুজোয় আপনারা যে ঠেকুয়া বানান, তার অপেক্ষায় থাকি। তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ যে ভাবে বিভিন্ন ঘাটে পুজোর আয়োজন করেছে, তাতে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি যত দিন বেঁচে থাকি, তত দিন আসব। এটা আমার ইচ্ছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নেতাজি স্পোটিংয়ের আমন্ত্রণে বার বার এখানে আসছি। ২০ বছর ধরে এখানে আসি, তার থেকে বেশি বা কম নয়। আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই যে এত ভাল আপনারা আয়োজন করেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি আদি গঙ্গার কাছেই থাকি। মা গঙ্গা আমরা পুজো করি। শুভ কামনা করি। গঙ্গায় গিয়ে পুজো করতে গিয়ে ধীরেসুস্থে পুজো দিয়ে ধীরে ধীরে ফিরে আসুন। বাচ্চাদের বাবাদের কাছে রেখে যান। দণ্ডি কাটেন অনেকে... ভলান্টিয়ার্সরা ভোর পর্যন্ত থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy