Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Dana Cyclone & Mamata Banerjee

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় নিজ এলাকায় যান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতীর্থদের নির্দেশ মমতার

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি সামাল দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করে মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় যেতে বলেন। ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী দফতরের তরফে অনেক মন্ত্রীকে বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। তাঁদের বিভিন্ন জেলায় থেকে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Chief Minister Mamata Banerjee directs ministers in cabinet meeting to go to their respective areas to deal with cyclone Dana

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৭
Share: Save:

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা-সহ উপকূলীয় এলাকার আকাশ মেঘলা। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। রাত বাড়লেই দাপট দেখাতে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এমন পরিস্থিতিতে নিজে নবান্নে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি সামাল দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করে মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় যেতে বলেন। ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে অনেক মন্ত্রীকে বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। তাঁদের বিভিন্ন জেলায় থেকে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভায় নির্দেশ পাঠান যে তিনি নিজে ধর্মতলার সদর অফিসে থেকে রাতের শহরের উপর নজরদারি করবেন।

রাজ্যের পাঁচ জন মন্ত্রীকে বৈঠকে যোগ দিতে বারণ করা হয়েছিল। বিকল্প হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁদের পাঠানো হয় বিশেষ নির্দেশ। এই মন্ত্রীরা হলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল এলাকায় দাপট দেখাবে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’। তাই এই পাঁচ মন্ত্রীকে রাজ্যের পৃথক পাঁচটি জায়গায় পাঠিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলেছেন মমতা। ‘দানা’ ওড়িশায় বড়সড় হানা দিলেও তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের সাগরতটে থাকা এলাকাগুলি। তাই যে সব মন্ত্রী গাঙ্গেয় উপকূল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাঁদেরই এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি। সেচমন্ত্রী মানসকে মেদিনীপুরে থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উপর নজরদারি করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী বিরবাহাকে ঝাড়গ্রামে থেকে নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব পাশকুড়া পূর্বের বিধায়ক হলেও, তাঁকে দেখতে বলা হয়েছে দিঘার সামুদ্রিক এলাকা। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই কাজও শুরু করে দিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র সাগরদ্বীপে থেকেই গোটা সুন্দরবনের ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছেন। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র সাগর তৈরি হয়েছে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সাগরদ্বীপ এবং নামখানা ব্লক নিয়ে। এই দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই। তাই নজরদারির ক্ষেত্রে প্রশাসনের উপরেই নির্ভর করতে হতে হচ্ছে তাঁকে। সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এলাকায় নজরদারি করতে সচিব পর্যায়ের আধিকারিক মণীশ জৈনকেও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সেচ দফতরের আধিকারিকেরাও ঝড়ের সময় ওই সব এলাকাতেই থাকবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Dana Mamata Banerjee Cabinet Meeting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE