—প্রতীকী চিত্র।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গত মাসে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে পিছু হটতে হয়েছিল ইডিকে। আক্রান্তও হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আধিকারিকেরা। সেই ঘটনার ৩৩ দিনের মাথায় শাহজাহানের ডেরা সেই সন্দেশখালিতে উলটপুরাণ! এ বার পিছু হটতে হল তৃণমূল বাহিনীকে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, শেষমেশ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হল শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের।
বুধবার সকালে সন্দেশখালিতে বাইক মিছিলের কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সন্দেশখালি-২ ব্লকের ত্রিমোহিনী থেকে কাহারপাড়া, দাসপাড়া, পাত্রপাড়া-সহ একাধিক গ্রামে ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র প্রতিবাদে সেই মিছিল হচ্ছিল। সেই সময়েই পাল্টা মিছিল করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাতেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শাহজাহান ঘনিষ্ঠেরা তাঁদের মাছের ভেড়ি জোর করে দখল করে নিয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের মিছিলে সিপিএম ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরাও যোগ দেন। এর পরে আর এঁটে উঠতে পারেননি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে এলাকা ছাড়তে হয় তাঁদের। কয়েক জনকে বাঁশ, লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে কয়েক জন যুবক নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। তার পর সাঁতরে নদীর প্রায় মাঝামাঝি গিয়ে নৌকায় উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
তৃণমূলে অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরাই গ্রামে গন্ডগোল ছড়িয়েছে। সন্দেশখালির মানুষকে প্ররোচনা দিয়েছে। পাল্টা বিজেপি ও সিপিএমের বক্তব্য, এই ঘটনা সন্দেশখালির মানুষের গণরোষের বহিঃপ্রকাশ। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, এত বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতই না যদি পুলিশ নিজের ভূমিকা ঠিক করে পালন করত। ঘটনাস্থলে সময়ে পৌঁছে গেলেও পুলিশকর্মীরা নীরব দর্শক ছিলেন। যার জেরে আবার সন্দেশখালি উত্তপ্ত হয়ে উঠল বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy