শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলঙ্গনার মতো রাজ্যে সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) এবং আইপিসি (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-র ব্যাপক অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই খবর সূত্র মারফত পেয়েছেন বলে দাবি করে এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, আগামী ২-৩ মাসে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘আইনের অপব্যবহার তো প্রথম সিবিআই করছে। সিবিআইয়ের এফআইআরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। উনি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কী ভাবে? উনি তো বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। আগে ওঁকে গ্রেফতার করা হোক, তার পর অন্য রাজ্যের দিকে তাকাবে। দোষ ধরতে গেলে তো সবার আগে ওখান থেকে শুরু করা উচিত।’’ এ বিষয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই আইনের অপব্যবহার নিয়ে সরব ছিলাম। শুভেন্দু অধিকারীও বুঝেছেন, ভাল লাগছে।’’
পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের অভিযোগ তুলে বুধবার সেখানে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এই ধর্মঘটের মধ্যেই বিকেলে কোলাঘাটে নিজের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে সিআরপিসি, আইপিসি-র ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। তবে কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি যে ভাবে আইনের অপব্যবহার করছে, তা খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হয়তো ভারত সরকার বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। এই বিষয়টি আমি সূত্র মারফত জেনেছি।’’
সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর দাবি করেন, বুধবারের বন্ধ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘গোটা জেলা জুড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কোনও তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই ময়দানে দেখা যায়নি। বিজেপি নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার পর কোনও মানুষই আর তৃণমূলের পাশে নেই। তাই জেলা জুড়ে তৃণমূল ঘরে গুটিয়ে রয়েছে।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, বিজেপির কর্মসূচি রুখতে পাশের জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। পুলিশের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবরোধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘বিক্ষোভ-অবরোধ তুলতে বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হয়েছে। যা হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা। পটাশপুরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় বিজেপির বর্ষীয়ান নেতাকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাঁথিতে বিজেপির মহিলা নেত্রীর উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমার কাছে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাব।’’
এ প্রসঙ্গে পাল্টা কুণাল বলেন, ‘‘বিজেপির বন্ধ চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছে। বন্ধে কোনও সাড়া ছিল না। অর্ধেক জায়গায় অবরোধই হয়নি। ১০০টা জায়গায় অবরোধ বলেছে। মেরেকেটে ১৭টা জায়গায় ৫-৭ মিনিট করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আর কিছু পারেনি। জেলা পুরোদস্তুর নর্ম্যাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy