পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ তৈরির দায়িত্ব শুধু রাজ্যের ঘাড়ে চাপালেই চলবে না। এগিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রকেও। সম্প্রতি শহরে পরিবেশবান্ধব শক্তি নিয়ে এক অনুষ্ঠানে কার্যত এমন কথাই বললেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ করে ভর্তুকির ক্ষেত্রে ওদের এগিয়ে আসা উচিত।’’
বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছিল। পরে রাজস্থান, গুজরাতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়ে রাজ্য। পরিবেশকর্মীদের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গের থেকে গুজরাত, রাজস্থানে বেশি রোদ ঝলমলে দিন মেলে। সৌর শক্তি জনপ্রিয় করতে ওই সব রাজ্যে সরঞ্জামে ভর্তুকিও বেশি দেওয়া হয়।
ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রাঁসেজ-এ সম্প্রতি ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেখানে মন্ত্রী জানান, ২০১১-র পর থেকে রাজ্যের নানা জায়গায় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। সেচ খালের ধার দিয়ে সৌর প্যানেল বসেছে। এ বার সেচখালের উপরেও সৌর প্যানেল বসবে। রাজারহাটে সোলার ডোম তৈরি হচ্ছে। ‘আলোশ্রী’ প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি দফতরের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থার সম্পাদক সোমনাথ পাইনের মতে, সৌর বিদ্যুতের মতো পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রচারে বেসরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy