বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। ছবি: পিটিআই।
এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের প্রভাব কী পড়ল, দেখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দল এসেছে উত্তরবঙ্গে। মূলত কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় এই দলটি পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। এই দুই জেলার সঙ্গে অসমের সীমানা রয়েছে। অসম থেকে বিতাড়িত হয়ে বা ভয়ে কেউ এ রাজ্যে এলে, তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার কথা একাধিকবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক সময়ে এমন কয়েক জনকে আশ্রয় দেওয়াও হয়েছিল। এমনকি, আলিপুরদুয়ারের বারোবিশায় এমন কিছু ত্রাণকেন্দ্র এখনও রয়েছে। সূত্রে খবর, তেমন কেউ এ বারে রাজ্যে এসে ঢুকছেন কিনা, তা দেখতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দল এসেছে এই দুই জেলায়। এক পুলিশকর্তার মন্তব্য, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দল নানা কারণে সারা বছর ধরেই আসা-যাওয়া করে। এখানে ওদের অফিসও রয়েছে। অসম থেকে কেউ আসছে কি না, তার নজরদারি অসমে বসেই করা যায়। সে জন্য এ দিকে আসার প্রয়োজন নেই।”
বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অসম লাগোয়া এ রাজ্যের এলাকাগুলিতে নাশকতার আশঙ্কা করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দল। উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় আইবির এক আধিকারিকের মন্তব্য, “সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।” এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের বারবিশা এবং কোচবিহারের অসম সীমানা লাগোয়া কয়েকটি জায়গায় এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই সব এলাকার অনেক মেয়েরই অসমে বিয়ে হয়। এ দিন বারবিশার সুবলচন্দ্র দাসের দাবি, ‘‘২৫ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়েছে অসমের এক পরিবারে। তার নাম তালিকায় নেই। ও কান্নাকাটি করছে।’’ পাকড়িগুড়ির মন্টু বিশ্বাসের বোনেরও বিয়ে হয়েছে অসমে। তিনি বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে তো যোগাযোগই করতে পারছি না!’’ এমনই উদ্বেগ চেপে আছে এই সীমানাবর্তী এলাকাগুলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy