কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘দাম্ভিক’ বলে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি:টুইটার।
ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে নিট (এনইইটি) এবং জি (জেইই) নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর তুঙ্গে তুলবেন তৃণমূল চেয়াপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা ছিল তেমনই। তার কয়েক ঘণ্টা আগে মেয়ো রোডে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করে নেত্রীর আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রাখবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এমনও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে কিছুটা বদলে গেল পরিকল্পনা। ছাত্র সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভের রাশ হাতে নিলেন যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয়সরকারকে ‘দাম্ভিক’ বলে আক্রমণ করলেন তিনি। দম্ভ এবং অহঙ্কারের কারণেই ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা পিছতে কেন্দ্র রাজি হচ্ছে না বলে অভিষেক দাবি করলেন। অভিষেকের এই সুর বুঝিয়ে দিল, বেলা ৩টের ভার্চুয়াল ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর কোথায় পৌঁছাতে পারে।
অভিষেক নিজের ভাষণে সে ইঙ্গিতও দেন এ দিন। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরও অনেক কিছু বলবেন বলে তিনি জানান। দলনেত্রীর ভাষণের দিকে সবাইকে চোখ রাখতেও বলেন। আর অভিযোগ করেন যে, দেশের সুপ্রিম কোর্টকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তথা পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার তরফ থেকে।
আদালত জানতে চেয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কি না? পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে যে, তা সম্ভব। সেই কারণেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আদালত দেয়নি বলে অভিষেক জানান। পরীক্ষা নেওয়ার পরিস্থিতি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে আদালতকে ঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
Attachments area
আরও পড়ুন: লকডাউনেই সল্টলেকে প্রবেশিকা বিএইচইউয়ের
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এ দিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডের আক্রমণের সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। ছাত্র-যুবদের স্বার্থের কথা ভেবেই নিট এবং জি পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তৃণমূল তুলেছে বলেতিনি জানান। ৬টি রাজ্যের সরকার যে এই মুহূর্তে পরীক্ষা নেওয়ার বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেক তোপ দাগেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন শিবির থেকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠা সত্ত্বেও কেন্দ্র তাতে রাজি হচ্ছে না ‘দম্ভ, অহঙ্কার এবং ঔদ্ধত্যের কারণে’, বলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার মানুষের জন্য, মানুষ সরকারের জন্য নয়।’’ আগে ছাত্রছাত্রীদের বেঁচে থাকা দরকার, তার পরে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রশ্ন, বলেন তিনি। লকডাউন ঘোষণার সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে কী বলেছিলেন, সে কথা এ দিন মনে করিয়ে দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘আপনিই তো বলেছিলেন জান হ্যায়, তো জহান হ্যায়। এখন সে কথার কী হল?’’
আরও পড়ুন: নিট-জেইই স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি বাংলা-সহ ৬ রাজ্যের
প্রায় ৩০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী নিট ও জি-তে বসবেন এবং এই মুহূর্তে পরীক্ষা হলে ওই ৩০ লক্ষ পড়ুয়া এবং তাঁদের পরিবার মিলিয়ে অন্তত ১ কোটি ২০ লক্ষ লোকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে— এ দিন এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি ছাত্রছাত্রীরা সংক্রমিত হন, তা হলে দায়িত্ব নেবে কে? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। পরীক্ষা দিতে গিয়ে কেউ সংক্রামিত হলে তাঁর দায়িত্ব কেন্দ্র নেবে, এর পর থেকে কেন্দ্রই তাঁর সব কিছু দেখভাল করবে—এখনই পরীক্ষা নিতে হলে এই কথা কেন্দ্রকে ঘোষণা করতে হবে বলে অভিষেক এ দিন দাবি তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy