ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচন হতে এখনও এক বছরের অনেকটা বেশি সময় বাকি। কিন্তু তার আগেই ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচনের আগে হেরে যাওয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে দলের শক্তি বৃদ্ধি করা। বিজেপি এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছে ‘প্রবাস’। আগামী ১৫ জুলাইয়ের আগে প্রথম পর্বের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই এই নেতারা কলকাতায় আসছেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, এই রাজ্যের ১৯টি এমন লোকসভাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোয় তারা নিজেদের তুলনামূলক ভাবে দুর্বল মনে করছে। তালিকায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের লোকসভা কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। এ ছাড়াও, এই তালিকায় আছে হাওড়া সদর, উলুবেড়িয়া, কলকাতা উত্তর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, মথুরাপুর, জয়নগর, দমদমের মতো লোকসভা কেন্দ্রের নাম। এই কেন্দ্রগুলিতে বুথ স্তর থেকে দলকে শক্তিশালী করতে রাজ্যে আসতে পারেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, কিরণ রিজিজু, এস পি বাঘেলের মতো নেতারাও। তাঁরা এই কেন্দ্রগুলোয় দলের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে তা তুলে দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডাকে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে সোমবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্প্রসারণের উদ্বোধনের কথা থাকলেও রবিবারই শহরে চলে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে রবিবার হাওড়া গিয়ে সেখানে হাওড়া সদর ও উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। তাঁর কাল, মঙ্গলবার ফের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। ওই দিন তাঁর যাওয়ার কথা শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে। পাশাপাশি আজ, সোমবার কলকাতায় এসে পৌঁছনোর কথা এসপি বঘেলের। ওই দিন তিনি মথুরাপুর ও আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ‘প্রবাসে’র কাজ করতে পারেন। এর পরে ধর্মেন্দ্র প্রধানেরও কলকাতায় আসার কথা। তাঁর দায়িত্ব পড়েছে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রশিক্ষণ শিবির উপলক্ষে রাজ্যেই আছেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলের সামনে দু’শো আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়ার পরে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলায় কার্যত ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করতে দেখা গিয়েছিল। তার পরেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটা দূরে থেমে গিয়েছিল বিজেপি। তখন প্রথম সারির বেশ কিছু নেতা প্রকাশ্যেই রাজ্য বিজেপির উপরে কেন্দ্রের ছড়ি ঘোরানোকে নির্বাচনী বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেছিলেন। কিন্তু তা-ও ফের একই কাজ করা হচ্ছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই। তবে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যুগ যুগ ধরেই রাজ্যে আসছেন। এটাই বিজেপির কর্ম পদ্ধতি। আগে বিজেপির ১৮ জন সংসদ ছিল না বলে এগুলো নিয়ে চর্চা হত না। এখন বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, তাই চর্চা হচ্ছে।’’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘এর থেকেই প্রমাণ হয়, বাংলায় অবাধ গণতন্ত্র এবং পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প কতটা জনপ্রিয়! যার টানে এই সব রাজনৈতিক পর্যটক বাংলায় গো হারা হেরেও আবার এখানে আসছে।’’
এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর শনিবারের বাতিল হওয়া বঙ্গ সফরও সোমবার হতে পারে বলে সূত্রের খবর। নিউটাউনের একটি হোটেলে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy