অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
শুধু গরু পাচারের সঙ্গে যোগই নয়, বোলপুরের কালিকাপুরে যে চালকলটিতে এ দিন হানা দিল সিবিআই, সেটির অন্য গুরুত্বও বোঝার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিশেষ করে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই চালকলটির কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। একই কারণে আরও একটি চালকলের দিকেও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। সেটি বোলপুরের ‘শিবশম্ভু’ চালকল। এই চালকলটির ভূমিকাও জানতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠিও দিয়েছে সিবিআই।
শুক্রবার সকালে বোলপুরের ‘ভোলে বোম’ চালকলে হানা দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এখান থেকে পেয়েছেন। তবে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের এই চালকলটির সঙ্গে ধান সংগ্রহের কী যোগ ছিল, তা নিয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে। সিবিআই এবং বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা খাদ্য নিয়ামকের দফতরকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। একই সঙ্গে ‘শিবশম্ভু’-র ক্ষেত্রেও খোঁজ শুরু হয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, ধান সংগ্রহকে ঢাল করে বড়সড় দুর্নীতি হতে পারে। কত ধান কিনেছে ওই চালকল দু’টি, সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ‘শিবশম্ভু’ চালকলটির সঙ্গেও অনুব্রতের যোগ রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে, শিবের নাম রেখে গড়া দু’টি চালকলেরই নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ওয়েবসাইটে। ‘অনলাইন প্যাডি প্রোকিওরমেন্ট সিস্টেম’-এ জেলার মোট ৫৬টি চালকলের নাম রয়েছে। সেই তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে ‘ভোলে বোম’, ৪৪ নম্বরে রয়েছে ‘শিবশম্ভু’।
সিবিআইয়ের চিঠির বিষয়টি নিয়ে অবশ্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা মুখ খুলতে চাননি।
বীরভূমের চালকলের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সহায়ক মূল্যে সরকার ধান কিনলে, সেই ধান থেকে চাল তৈরির দায়িত্ব বর্তায় চালকলগুলির উপরে। সেখানে থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল তৈরি করে রাজ্যে সরকারের বিভিন্ন গুদামে সরবরাহ করে থাকেন চালকল মালিকেরা। রেশন ব্যবস্থায় চাল বিলির জন্য রাজ্য সরকারের গুদাম থেকেও চাল নেওয়া হয়। ফলে অনুব্রতের চালকল থেকে রাজ্য সরকারের ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য’ বিভাগ বা রেশন বিভাগের সঙ্গে লেনদেনের নথি পাওয়া আশ্চর্যের নয়। কিছু মহলের অভিযোগ, চালকলগুলি যে পরিমাণ ধান কেনে এবং যে পরিমাণ চাল তৈরি করে সরকারি গুদামে দেয়, তার মাঝে বেনিয়মের অনেক সুযোগ থাকে। শাসকদলের দাপুটে নেতা অনুব্রতের চালকলের সঙ্গে তেমন যোগ রয়েছে কি না, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy