—ফাইল চিত্র
সারদা তদন্তে সিবিআই-কে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে সিট— সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা একাধিক হলফনামায় দাবি করেছেন সিটের তৎকালীন প্রতিদিনের কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার রাজীব কুমার। সম্প্রতি ১০০ পাতার হলফনামায় সিবিআইয়ের ২০১৪ সালের একটি চিঠি যুক্ত করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের সঙ্গে সিআইডি বা সিট যে নিয়মিত সহযোগিতা করেই কাজ করে গিয়েছে, তা প্রমাণেই সেই চিঠি পেশ করা হয়েছে। কিন্তু কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের সেই চিঠিই এখন হাতিয়ার করতে চায় সিবিআই। তাঁদের দাবি, ২০১৪ সালে সিবিআই সিআইডির কাছে যে তথ্য চেয়েছিল, পাঁচ বছর পরেও তা সিট দেয়নি।
কী ছিল সেই চিঠিতে? ২০১৪-এর ২৫ আগস্ট সিআইডির স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডি এস রুদ্রকে লেখা সিবিআইয়ের তৎকালীন ইন্সপেক্টর তথাগত বর্ধনের সেই চিঠিতে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন-সহ তাঁর ঘনিষ্ঠদের ২০১২-১৩ সালের ফোনের কল ডেটা রেকর্ড চাওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ, সোমনাথ দত্ত, নরেশ বালোটিয়া, শুভজিৎ সেন, অশোক কুমার ধাড়া, তরুণকুমার রায়, বিশ্বজিৎ রায়, হেমন্ত প্রধান, অরবিন্দ চৌহান, মনোজ নেগেল, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, আমরিন আরা, পৌলমী মুখোপাধ্যায়, ঐন্দ্রিলা আচার্যের ফোনের যাবতীয় কথোপকথনের নথি দিতে হবে। পাশাপাশি সিট, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের অন্য কোনও থানা যদি সারদা তদন্তের সঙ্গে জড়িত কম্পিউটারের সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, পেন ড্রাইভ-সহ অন্য ইলেকট্রনিক্স নথি সংগ্রহ করে থাকে, তা-ও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছিল। সেই চিঠি পেয়ে ডি এস রুদ্র রাজ্যের সব পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে বলেছিলেন।
এখন সিবিআইয়ের প্রশ্ন, ২০১৪-য় রাজীব কুমারই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। তা হলে সিআইডি বলার পরেও সুদীপ্ত-ঘনিষ্ঠদের সকলের ফোনের কল ডেটা রেকর্ড কেন দেওয়া হয়নি। কেনই বা বহু ইলেকট্রনিক নথির তথ্য, যা সিবিআই এখন জানতে পারছে, তা এত দিন সিট জানায়নি। কেনই বা ২০১৭-য় নতুন করে চিঠি দিয়ে সিবিআই-কে সুদীপ্ত ও দেবযানীর ৫টি ফোনের সিডিআর চাইতে হল?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যদিও রাজীব কুমারের অন্যতম আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করে সিবিআই সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছে। দেখাতে চেয়েছি, ২০১৪ সালে যখন সিবিআই কল ডেটা রেকর্ড চেয়েছিল তখন বিস্তারিত কিছু চায়নি। চার বছর পরে তাদের ফোনের বিস্তারিত নথির প্রয়োজন হয়েছে। সেটা বোঝাতেই আমরা পুরনো চিঠিটি দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy