গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সন্দেশখালির অস্থায়ী শিবির থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করল সিবিআই। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সেখানে শিবির খুলেছে তারা। শুক্রবার থেকে সেখানে কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা ইমেল পাঠাতে পারছিলেন না, তাঁরা প্রথম দিন শিবিরে গিয়ে অভিযোগ জমা করেছেন। আগে মেলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপও করেছেন আধিকারিকেরা। কথা বলেছেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে। খতিয়ে দেখেছেন জমি।
সন্দেশখালি নিয়ে সব অভিযোগ শোনার জন্য সেখানে অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে থেকেই এ বার তদন্ত করবেন তাদের আধিকারিকেরা। শিবির খোলা হয়েছে শুনে শুক্রবারই স্থানীয়দের কয়েক জন অভিযোগ জানাতে চলে যান। এর আগে ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করেছিল সিবিআই। কিন্তু সন্দেশখালিতে স্থানীয়দের অনেকেই মেল করতে পারেন না। অস্থায়ী শিবির খোলার খবর শুনে তাঁরা সেখানে গিয়ে অভিযোগ করেন। এক জন ইমেল করে ভুল আইডিতে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি শুক্রবার শিবিরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন। ধামাখালি এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। শিবির খোলার পর প্রথম দিনেই সেই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান সিবিআই আধিকারিকেরা।
গয়সার আলি মোল্লা অভিযোগ করেছিলেন, শাহজাহান শেখ ঘনিষ্ঠ আলিম মোল্লা তাঁকে জমি ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছেন। শুক্রবার গয়সারের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর জমি দেখতে যায় তদন্তকারীদের একটি দল। শুক্রবার সকালে বেড়মজুরেও গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।
সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ (নিলম্বিত তৃণমূল নেতা) এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে জমিদখল, হেনস্থা এবং নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই একাধিক বার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েক জনের বাড়ি গিয়ে কথা বলে জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। এ বার সেখানে অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে। গ্রামের মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন, তাই সেখানেই অস্থায়ী শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। এর ফলে অভিযোগ পেয়ে শীঘ্র পদক্ষেপ করতে পারবে তারা। বার বার কলকাতায় অভিযোগকারীকে ডেকে পাঠানোও সমস্যার।
তবে সিবিআইয়ের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা নেওয়া বন্ধ করছে না তারা। পাশাপাশি, এত দিন যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেগুলিও ওই শিবির থেকেই খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কলকাতার সিবিআই দফতর থেকে কয়েক জন আধিকারিক সন্দেশখালি গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সন্দেশখালি যান। তাঁরা খতিয়ে দেখছেন অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy