সুকন্যার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। অনুমান, জেরায় সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে মণীশ কোঠারিকে। নিজস্ব চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা নয়, বুধবার সকালে বোলপুরে গিয়ে প্রথমে অনুব্রতের হিসাবরক্ষককে ডেকে পাঠাল সিবিআই। তার পর টানা দু’ঘণ্টা ধরে চলল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ।
খবর ছিল, বুধবার বোলপুরে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই মতো তাঁরা বুধবার ভোরে বোলপুরে পৌঁছেও যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তাঁরা অনুব্রতের বাড়িতে যাননি। শান্তিনিকেতনের কাছে একটি অতিথিশালায় এসে ওঠেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। তার পর থেকে টানা দু’ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে।
ঠিক সাত দিন আগেই বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার এক সপ্তাহের মধ্যে আবার বুধবার সকালে বোলপুরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশের কাছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির হিসাব জানতে চেয়েছে সিবিআই। কারণ অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ অর্থ পাওয়া যায়নি। সেই সব অ্যাকাউন্টে তেমন লেনদেনও হয়নি।
সুকন্যার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, বেশ কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবেও রয়েছে অনুব্রত-কন্যার নাম। অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ লেনদেন না হলেও সেই সব কোম্পানিতে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়েছে। সূত্রের খবর মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই অর্থের তল পেতে চাইছে সিবিআই।
বুধবার সকালে শান্তিনিকেতনের কাছে পূর্বপল্লী গেস্ট হাউসে এসে ওঠেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই মণীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তাঁকেই ডেকে পাঠানো হয় ওই অতিথিশালায়। বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মণীশ ওই অতিথিশালাতেই ছিলেন। মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরে অনুব্রতের নিচুপট্টির বাড়ির পথ ধরেন। সূত্রের খবর ছিল, সুকন্যার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে সিবিআই গোয়েন্দাদের। বোলপুরে তাঁদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে রাজিও হয়েছেন অনুব্রত-কন্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy