অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদা ও রোজ ভ্যালি তদন্তে আবার প্রবল ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। নতুন করে ডেকে জেরা করা হচ্ছে রাজনীতিবিদ তথা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। সেই সঙ্গে চেপে ধরা হচ্ছে আমলাদেরও।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকে ইডি-র দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে। তিনি হাজির হননি। বুধবারেই অসুস্থতার কথা বলে চিঠি দিয়ে আরও তিন সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আজ, শুক্রবার ইডি-তে হাজির হওয়ার কথা তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রভাব খাটিয়ে রোজ ভ্যালি থেকে ‘সুবিধা’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শাসক দলের ওই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে।
সারদা ও রোজ ভ্যালির আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় রাজ্য সরকারের দুই আমলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে দীনবন্ধু ভট্টাচার্য অবসর নিয়েছেন। অন্য জন রাঘবেন্দ্র সিংহ এখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে ডেপুটেশনে রয়েছেন। রাঘবেন্দ্রকে জেরা করা হয়েছে দিল্লিতে। বৃহস্পতিবার দীনবন্ধুবাবুকে সল্টলেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১২ সালে কালিম্পঙের ডেলো পাহাড়ে রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু এবং সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, গৌতম পরিবহণ ও পর্যটন— দুই ক্ষেত্রেই বিনিয়োগে রাজি হয়েছিলেন। সুদীপ্তের সঙ্গে পর্যটন প্রকল্পে বিনিয়োগ নিয়ে বৈঠক হয়। সিবিআই জানিয়েছে, ওই দুই বৈঠকেই হাজির ছিলেন পর্যটন দফতরে তৎকালীন সচিব রাঘবেন্দ্র এবং পরে তিনিই দুই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র তৈরি করেন। বক্তব্য জানতে এ দিন রাঘবেন্দ্রকে ফোন করলে ‘একটি মিটিং ব্যস্ত আছি,’ বলে তিনি ফোন রেখে দেন।
২০১২ থেকে ’১৬ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দীনবন্ধুবাবু সারদা মামলায় রাজ্য, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং সিবিআইয়ের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার কাজ করতেন বলে জানিয়েছে সিবিআই। বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে যে-তদন্ত চালানো হয়েছে, তার ফাইলও তিনি সেই সময় নাড়াঘাঁটা করেছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। ২০১১ সালে সব সরকারি গ্রন্থাগারে ‘নির্দিষ্ট’ কিছু সংবাদপত্র রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা হয়েছিল। দীনবন্ধুবাবুকে এ দিন সেই বিষয়েও জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এ দিন সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরিয়ে দীনবন্ধুবাবু বলেন, ‘‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy