রাকেশ আস্থানা। নিজস্ব চিত্র।
ফের রাজ্যে সক্রিয় সিবিআই। নদিয়ার একটি চিট ফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পেয়েই শুরু হয় তল্লাশি।বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সিবিআইয়ের ১২টি দল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তল্লাশি অভিযানে রওনা দেয়।
নদিয়া, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর, উত্তর চব্বিশ পরগনা কল্যাণী-সহ ১৬টি এলাকায় তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের ১২টি টিম। গোল্ডেন পরিবার হাউজিং ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার একাধিক আধিকারিকদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সংস্থার তিন কর্তা বীণা বিশ্বাস, সুকল্যাণ বিশ্বাস ও দেবমিতা বিশ্বাসের নামও উঠে আসে তদন্তে।
২০০৫ সালে এই গোল্ডেন পরিবার চিট ফান্ড সংস্থা কাজ শুরু করেছিল। ২০১৬ সাল নাগাদ পন্জি স্কিমে টাকা সংগ্রহ শুরু করে এই গোল্ডেন পরিবার। অভিযোগ, হাউজিং প্রকল্প-ফ্ল্যাট ইত্যাদি দেখিয়ে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার নামে বেআইনিভাবে প্রচুর টাকা তুলতে থাকে এই সংস্থা। সারা রাজ্যজুড়েই ব্যবসা চালায় এই সংস্থা। দু’ বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কল্যাণীর জেএনএম হসপিটাল রোডে এই সংস্থার নথিভুক্ত অফিসে চলে তল্লাশি।
সারদা, রোজ ভ্যালি এবং নারদ কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে দিনকয়েক আগেই কলকাতায় এসেছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানা। তখনই ছোটখাটো চিট ফান্ড সংস্থাগুলি নিয়ে তদন্তের অগ্রগতির কথা জানিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ছোট চিটফান্ড সংস্থাগুলি নিয়ে তদন্ত শেষ করে ফেলার কথাও আস্থানা জানিয়েছিলেন কলকাতার অফিসারদের। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে আজ শাহ, নজরে পুরুলিয়াই
আরও পড়ুন: চার্টার্ড বিমানে বঙ্গসফরে অমিত
কলকাতা সফরে এসে আস্থানা বলেছিলেন, প্রভাবশালীর যোগ নেই, এমন অর্থলগ্নি সংস্থার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত চার্জশিট দ্রুত জমা দিতে হবে। সারদা এবং রোজ ভ্যালি ছাড়াও অন্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণ দ্রুত জোগাড় করার কথাও বলেছিলেন তিনি। সেই সময় আস্থানা জানান, প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগ নেই এমন সংস্থার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত চার্জশিট দিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের দায়িত্বমুক্ত করতে হবে। প্রভাবশালী-জড়িত অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে সামিল করা হবে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy