—ফাইল চিত্র।
স্কুল স্তরে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে চূড়ান্ত অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে রিপোর্ট দাখিল করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। সেই রিপোর্ট আদালতের নজর এড়িয়ে যাবে কেন এবং এই বিষয়ে আদালত কেনই বা দৃষ্টি দেবে না, সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।
শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দায়ের করা একটি মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘সিএজি-র ওই রিপোর্ট আদালতের পর্যবেক্ষণে আনা উচিত হবে না কেন?’’ ২৫ জুলাই এসএসসি-কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এসএসসি-র কৌঁসুলি কনককিরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, সিএজি ২০১১ সালে গৃহীত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। ২০১৬ সালের পরীক্ষা নিয়ে কিছু বলেনি তারা। তা শুনে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নতুন-পুরনো বুঝি না। কী বক্তব্য, তা জানাতে হবে।’’ বিচারপতি ভট্টাচার্য এসএসসি-র আইনজীবীকে জানিয়ে দেন, ২০ জুলাই একটি বাংলা সংবাদপত্রে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিএজি-র যে-রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেটি তিনি পড়েছেন।
শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন কিছু শিক্ষকপদ প্রার্থী। বিচারপতি ভট্টাচার্য স্কুলশিক্ষক নিয়োগের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করার পরে ওই মামলাতেই যুক্ত হয়েছেন এমন কয়েক জন প্রার্থী, যাঁদের নিয়োগ করতে সুপারিশ করেছে এসএসসি। তাঁদের আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ১৬০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ৮০০ জনকে নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। এসএসসি যাঁদের নিয়োগ করতে সুপারিশ করেছে, তাঁদের নিয়োগের উপরে
স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy