Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

CBI investigation: তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের মৃত্যুরও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

স্থানীয় সূত্রে দাবি, তপন কান্দু হত্যায় প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। দেহের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে সে কথা উল্লেখ ছিল।

ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ ১৩:০৫
Share: Save:

গত ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাঁরই বন্ধু নিরঞ্জন। গত ৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ। পাশে পাওয়া সুইসাইড নোটে তিনি ‘চাপ দেওয়ার’ কথা লিখেছিলেন বলে দাবি। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের তরফে তপন-খুনের তদন্তভার পাওয়ার পর ৬ এপ্রিলই ঝালদা যায় সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সে দিনই উদ্ধার হয় নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ।

স্থানীয় সূত্রে দাবি, তপন কান্দু হত্যায় প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনকে বেশ কয়েকবার ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। নিরঞ্জনের দেহের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটেও সে কথা উল্লেখ করে লেখা ছিল, ‘যে দিন থেকে তপনকে খুন করা হয়, সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনও রকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না...। তার উপর পুলিশের বারবার ডাক।’ এই সব কিছু মিলিয়েই যে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তা স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে ওই সুইসাইড নোটে। বলা হয়েছে, ‘আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ... সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম।’

তপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নিরঞ্জন। বয়স ৫০-৫২-র মধ্যে। সন্ধ্যায় প্রায়শই বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে বের হতেন। হত্যার ঘটনার দিনও নিরঞ্জন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপনের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর সামনে তপনকে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বলে, সিবিআই তপন-খুনের তদন্ত করছে। এই অবস্থায় নিরঞ্জনের খুনের তদন্তও সিবিআইয়ের হাতেই থাক।

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Jhalda CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy