—প্রতীকী ছবি।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তভারও সিবিআইকে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যের তরফে গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর তদন্তের বিষয়টি খারিজ করে দেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে নথি হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে সিটকে। তিন সপ্তাহ পরে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতের কাছে জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করাতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি।চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি মৃতদেহ এবং বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার, তোলাবাজির অভিযোগ আনেন আখতার।
বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সওয়াল ছিল, গত বছর ১১ জানুয়ারি হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ উধাও হয়ে যায়। কী ভাবে হল? মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকে তলব করা হয় সন্দীপকে। এ ছাড়া ‘মেডিক্যাল ওয়েস্ট’ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই মামলাটি ইডিকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানানো হয়।
ইডি তদন্তের আর্জির প্রেক্ষিতে বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই মূল ঘটনার সঙ্গে ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও সিবিআই করবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
গত সোমবার তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দেয় নবান্ন। জানানো হয়, ওই তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন আইপিএস অফিসার প্রণব কুমার। বলা হয়, তাঁর সহকারী হিসাবে কাজ করবেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি ওয়াকার রেজ়া, রাজ্য সিআইডির ডিআইজি সোমা দাস মিত্র এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সিট গঠনের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত প্রথম রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি ভরদ্বাজ রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, গত বছর অভিযোগ করা হয়েছে। এখন কেন সিট গঠন করা হল? সিটের মাথায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বসানো হয়েছে কেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। রাজ্যের যুক্তি ছিল, মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy