কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরে ১০ হাজার পাঁঠা বলির উপর নিষেধাজ্ঞা দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই সব উৎসবের অন্য ধরনের মেজাজ থাকে। এর সঙ্গে জড়িত অনেকের বিশ্বাস। অনেক রাজ্যে মোরগ লড়াই হয়। জাল্লিকাট্টুর মতো খেলা আদালত বন্ধ করে দেয়নি। এই কথা জানিয়ে পাঁঠাবলির উপর নিষেধাজ্ঞা দিল না আদালত।
দক্ষিণ দিনাজপুরে রাসপূর্ণিমার পর বোল্লা গ্রামে শুরু হয় বোল্লা কালী পুজো। সেই পুজোয় ১০ হাজার পাঁঠা বলি হয়। এই পাঁঠাবলি নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, লাইসেন্স ছাড়া যেখানে-সেখানে পশুবলি হতে পারে না। রাজ্যের উচিত এটা বন্ধ করা। পশুদের উপর হিংসা বন্ধ করা উচিত। এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বলি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে পুজো কমিটিকে বলতে পারি, যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করে।’’ মার্চ মাসে এই নিয়ে এই রিপোর্ট দেবে পুজো কমিটি।
এই মামলার রায় দিতে গিয়ে জাল্লিকাট্টু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গও টেনেছে বেঞ্চ। চলতি বছর তামিলনাড়ুতে ষাঁড়ের খেলা জাল্লিকাট্টুকে বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে তামিলনাড়ু সরকার যে আইন এনেছিল, তাকে বৈধতা দিয়েছে। কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, জাল্লিকাট্টুর সঙ্গে নৃশংসতার কোনও যোগ নেই। একে রক্তক্ষয়ী খেলাও বলা যায় না। তবে এই খেলায় ব্যবহৃত পশুদের সুরক্ষা রাজ্যকে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy