সাগর দত্তে ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্তদের সাসপেনশন স্থগিত করল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘হুমকি প্রথা’ চালানোর অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া ১১ জন চিকিৎসক-পড়ুয়াকে কলেজে প্রবেশের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, তাঁরা ক্লাস করতে পারবেন। তবে শর্ত দিয়েছে উচ্চ আদালত। জানিয়েছে, ওই ১১ জনকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে যে, তাঁরা ভবিষ্যতে কলেজে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। এই মুচলেকা দিলেই তাঁরা ক্লাস করার অনুমতি পাবেন। পাশাপাশি, ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার তদন্ত ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নজরদারিতে হবে বলেই জানিয়েছে আদালত।
আরজি কর-কাণ্ডের আবহে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাগর দত্তে স্পেশ্যাল কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালীন সেখানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল এক দল চিকিৎসক-পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এর পরেই মনোজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র চিকিৎসক কামারহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে এফআইআর-ও রুজু করে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষও হামলা চালানোর অভিযোগে ১১ জনকে সাসপেন্ড করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কলেজে ‘দাদাগিরি’, ‘হুমকি’ দেওয়ারও অভিযোগ ছিল। সেই ১১ জনের সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিল উচ্চ আদালত।
আরজি কর আন্দোলনের সময় থেকেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র নানা রকম অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। আরজি করেও অন্তত ৫০ জন সাসপেন্ড হয়েছিলেন ‘হুমকি প্রথা’ চালানোর অভিযোগে। তা নিয়ে পরে হাই কোর্টে মামলা হয়। সেই সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল আদালত। একই ভাবে বর্ধমান মেডিক্যালেও সাসপেন্ড হওয়া একাধিক পড়ুয়াকে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ বার সাগর দত্তের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে। যা আরজি কর বা বর্ধমান মেডিক্যালের ক্ষেত্রে হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy