কলকাতা হাই কোর্ট।
চাকরি চেয়ে এক দিনে ১৪০০ আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ চেয়ে এই আবেদনগুলি জমা পড়েছে। আরও দু’ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন জানাতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে মোট মামলার সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে শূন্যপদ ৩৯২৯। শুক্রবার এই আবেদনগুলির ভিত্তিতে জরুরি মামলা শোনার আর্জি গ্রহণ করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী মঙ্গলবার মামলাটি বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগপ্রক্রিয়া হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৬,৫০০ পদে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে সব শূন্যপদ পূরণ হয়নি। শূন্যপদের তালিকা পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠায় হাই কোর্ট। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিকের ৩৯২৯টি শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে মামলাকারীদের। মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে ৭ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি দিতে বলে আদালত। ১১ নভেম্বর এ বিষয়ে হাই কোর্টকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরে শয়ে শয়ে মামলা আসতে থাকে উচ্চ আদালতে। এখন তা পৌঁছেছে কয়েক হাজারে। চাকরি পেতে শুক্রবারই নবীনচন্দ্র মাহাতো-সহ প্রায় দেড় হাজার টেট পরীক্ষার্থী হাই কোর্টে আবেদন করেন। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “আমার কাছেই চাকরিপ্রার্থীদের ২৮০০ আবেদন এসেছে। ইতিমধ্যে ১৪০০ মামলা দায়ের হয়েছে। বাকিগুলিতে আদালতের অনুমতি মিলেছে শীঘ্রই দায়ের করা হবে। আরও মামলা আসছে।”
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ৮২ হাজার টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়ে যান। তার মধ্যে ২০২০ সালে ১২ হাজারের কিছু বেশি টেট-উত্তীর্ণকে চাকরি দেওয়া হয়। ফলে এখন প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ৩,৯২৯টি শূন্যপদে কত জনকে নিয়োগ করা হবে? শূন্যপদের থেকে বেশি মামলাকারী হলে সবাইকে কি চাকরি দেওয়া সম্ভব? পর্ষদ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ মতো মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy