—ফাইল চিত্র।
সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেই ছুটে আসবে এক ঝাঁক ‘রক্ষী’। পাচারের চেষ্টা হলেও পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর ক্ষমতা থাকবে ওই ‘প্রহরী’দের! বাংলাদেশ সীমান্ত পাহাড়ায় এ বার সেই ব্যবস্থাই করতে চাইছে বিএসএফ। সেনা জওয়ানদের পাশাপাশি, এ বার ‘প্রশিক্ষিত’ মৌমাছিদের সীমান্ত পাহাড়ায় কাজে লাগানোর কথা ভেবেছে তারা। বিএসএফ সূত্রে খবর, এই ব্যবস্থার মহড়াও চলছে এখন। সফল হলে পুরোপুরি ভাবে তা চালু হয়ে যাবে সীমান্তে।
রাজ্যে সম্ভবত এই প্রথম সীমান্তে ‘বি কেজ’ তৈরি করে ‘জৈব প্রতিরক্ষা’ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় ২২২ কিলোমিটার জুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। ওই গোটা এলাকা জুড়েই এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কাঁদিপুর অংশে কাঁটাতারের পাশে মৌমাছিদের চাষ শুরু হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া অংশে বসানো হয়েছে মৌমাছির খাঁচা।
এই প্রহরী মৌমাছিরা কী ভাবে এই কাজ করবে? বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তের কাঁটাতার নড়ে উঠলেই খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসবে মৌমাছিরা। আক্রমণ করবে অনুপ্রবেশকারী কিংবা চোরাচালানকারীদের উপর। কাঁটাতার পেরিয়ে লুকানোর চেষ্টা করলেও তাঁদের ধাওয়া করবে তারা। এমন ভাবেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শুধু মৌমাছির বাক্সই নয়, কাঁটাতার বরাবর বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ চাষেরও পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএসএফ। শতমূলী, এলাঙ্গি, তুলসি, অ্যালোভেরার মতো বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান দিতে চাইছে বিএসএফ। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘জৈব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ভেষজ উদ্ভিদের চাষ শুরু হচ্ছে সীমান্তে। সফল হলে বড় এলাকা জুড়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy