পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। — ফাইল চিত্র ।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা কিছুতেই কমছে না। তার মধ্যেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নতুন প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আইজি (বিএসএফ)। আইজি বিএসএফের প্রস্তাব, কোনও বুথে হাফ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী (অর্থাৎ ৫ জন জওয়ান। যার মধ্যে সক্রিয় থাকবেন চার জন), তিনটি এবং চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী, পাঁচ এবং ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী এবং সাতটি বা তার থেকে বেশি বুথ থাকলে কমপক্ষে দু’সেকশন বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ‘স্ট্রংরুম’ (যেখানে ব্যালটবাক্স এবং ইভিএম রাখা হয়)-এ ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যার মধ্যে ৮০ জন জওয়ান সক্রিয় ভাবে মোতায়েন থাকবেন।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আইজি (বিএসএফ) জানিয়েছেন, সংবেদনশীল বুথগুলিতে আগে বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বুথগুলিতে মোতায়েন করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্য পুলিশও। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরই এই প্রস্তাব রাখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আইজি (বিএসএফ)-র তরফে জানানো হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা রাজ্যের কোনও বুথে একক ভাবে কাজ করতে চাইছেন না। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। বিএসএফ, আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় এক সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। এক সেকশনের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। শুধুমাত্র ভোটের ক্ষেত্রে কোনও বুথে হাফ সেকশন বাহিনী থাকতে পারে। হাফ সেকশন বাহিনীতে সক্রিয় থাকেন ৪ জন সদস্য। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে হিংসা, বুথ দখলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না— এই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আইজি (বিএসএফ)-র সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। তার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নতুন প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ নিয়ে যদিও কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy