এক দম্পতির ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে অন্যের গর্ভে। ফার্টিলিটি সেন্টারের ভুলে অপরিচিত দম্পতির সন্তানের জন্ম দিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অদ্ভুত সেই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন ফার্টিলিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষও। ওই ফার্টিলিটি সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মনুষ্যজনিত ত্রুটি’র কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
ওই ফার্টিলিটি সেন্টারের সিইও মাইকেল ন্যাপ ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার জন্য তাঁরা সবাই দুঃখিত। তাঁর মতে, এক দম্পতির হিমায়িত ভ্রূণ অন্য বাবা-মার কাছে স্থানান্তর করা হয়েছিল, যার ফলে সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির জন্মের পর ত্রুটিটি ধরা পড়ে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন মাইকেল।
আরও পড়ুন:
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, ত্রুটি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্কট ব্যবস্থাপনা দল (ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম) সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তারা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়ে নেয়। প্রয়োজনীয় সহায়তাও করা হয়েছে বলে দাবি। ঘটনাটি প্রজনন প্রযুক্তি স্বীকৃতি কমিটি (রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি)-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী দম্পতির নাম, শিশুর নাম এবং শিশুটির জন্মতারিখ সংস্থার তরফে গোপন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আইন অনুযায়ী জন্মদাত্রী মা এবং তাঁর সঙ্গীকে সন্তানের বৈধ পিতামাতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু ভ্রূণটি যাঁদের, সেই দম্পতি তাঁদের ভ্রূণ ব্যবহারের ব্যাপারে সম্মতি দেননি বলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয় কি না সেটাই এখন দেখার।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে অন্য বিতর্কে জড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ওই ফার্টিলিটি সেন্টারটি। ভুল জেনেটিক পরীক্ষার পর ৭০০ ভ্রূণ নষ্ট করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। শেষমেশ ৫কোটি ৬০ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মামলার নিষ্পত্তি হয়।