Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

‘প্রাণহানির আশঙ্কা’! বুথ প্রতি এক জওয়ান রাখতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোট ঘিরে ফের জটিলতা?

‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা’ তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর।

image of central force

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ২২:৪০
Share: Save:

ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে। আদালতের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা রাজ্যের কোনও বুথে একক ভাবে কাজ করতে চাইছেন না। ‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা’ তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। বৃহস্পতিবার রাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর আইজি (বিএসএফ)-র সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ নিয়ে যদিও কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।

বিএসএফ, আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় এক সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। এক সেকশনের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। শুধুমাত্র ভোটের ক্ষেত্রে কোনও বুথে ‘হাফ’ সেকশন বাহিনী থাকতে পারে। ‘হাফ’ সেকশন বাহিনীতে সক্রিয় থাকেন ৪ জন সদস্য। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে হিংসা, বুথ দখলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না— এই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। ৫২৮টি বুথে ভোট হচ্ছে না। বাকি ৬১ হাজার ১০৮টি বুথের প্রত্যেকটিতে যদি ‘হাফ’ সেকশন অর্থাৎ চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়, তা হলে অন্তত ২ লক্ষ ৪৫ হাজারের কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যের প্রয়োজন। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে ৮২২ কোম্পানি। অর্থাৎ ৮২ হাজার সদস্য। এ থেকে স্পষ্ট যে, সব বুথে কোনও মতেই চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে এই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীও যে শনিবারের আগে পুরোপুরি রাজ্যে এসে পৌঁছতে পারবে, তারও নিশ্চয়তা নেই। এখনও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। প্রশ্ন উঠছে, শনিবার, ভোটের আগে সেই বাহিনী কি আদৌ পৌঁছতে পারবে রাজ্যে? দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছে ওই ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরের রাজ্য, যেমন রাজস্থান, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরল থেকে যারা রওনা দিচ্ছে, তাদের কি আর এক দিনের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছনো সম্ভব? যদি তারা নির্বাচনের আগে এসে পৌঁছতে না পারে, সে ক্ষেত্রে কী করা হবে? সে প্রশ্নও উঠছে।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি (৮২ হাজার সদস্য) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি, দ্বিতীয় দফায় ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান (মোতায়েনের পরিকল্পনা)-সহ রিকুইজিশন দিয়েছে ৪ জুলাই রাতে। কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছে ৫ জুলাই। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কোথা থেকে সেই বাহিনী আসছে, তা-ও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য বিহার, ঝাড়থণ্ড, ত্রিপুরার পাশাপাশি দূরের গুজরাত, কেরল, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, চণ্ডীগড় থেকেও আসছে বাহিনী। দূরের রাজ্যগুলি থেকে বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী রওনা হলে পশ্চিমবঙ্গে আসতে অনেকটাই সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাহিনী পৌঁছতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিশেষ ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গে বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনিতে ভোটমুখী রাজ্যে মোতায়েনের জন্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে, তারা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বার সেই রীতি মানা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, যথা সময়ে বাহিনী যাতে নির্দিষ্ট বুথে পৌঁছতে পারে, সে জন্য রাজ্যে ট্রেন ঢোকার সময়েই প্রয়োজনীয় স্টেশনে নেমে পড়বেন বাহিনীর সদস্যেরা। যেমন, খড়্গপুর দিয়ে যখন ট্রেন ঢুকবে, তখন পূর্ব বা পশ্চিম মেদিনীপুরে মোতায়েন হওয়া বাহিনী সেখানেই নেমে যাবে।

সূত্রের খবর, এত কিছুর পরেও ৪৮৫ কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই নির্দিষ্ট গন্তব্যে সময়ে পৌঁছতে পারবে বলে মত কেন্দ্রের। তাদের আশঙ্কা, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ যথা সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে কী করা হবে? প্রয়োজনীয় বাহিনীর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সময় মতো পৌঁছতে না পারলে ভোট কী ভাবে মেটানো হবে? এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে দাবি তুলেছে, তা মিটিয়ে কী ভাবে শনিবার ভোট হবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাড়ছে জটিলতাও।

একা কাজ নয়

পঞ্চায়েত ভোটে একা কাজ করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাফ সেকশন (ন্যূনতম ৪ জন)-এর নীচে মোতায়েন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়োছে বিএসএফ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বিচ্ছিন্ন ভাবে বাহিনী মোতায়েন করা যায় না। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এক জন করে মোতায়েনের বিষয়ে ক্ষোভ রয়েছে জওয়ানদের। ক্ষোভ জানিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কোনও একটি জায়গায় এক সেকশন বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ম। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা কমপক্ষে ৪ জন হতে পারে। তার নিচে বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়। সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি— সব বাহিনীই আপত্তি জানায়। বৃহস্পতিবার দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক হয় আইজি (বিএসএফ)-র সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, তাদের কোথায়, কী ভাবে মোতায়েন করা হবে, তা দেখছেন আইজি (বিএসএফ)।

বাহিনীর হিসাব

কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি (৮২ হাজার সদস্য) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি, দ্বিতীয় দফায় ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। সেই বাহিনীর আসা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ভোটের তিন দিন আগেও স্পষ্ট না-হওয়ায়, তা নিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। তিনি সংশয় প্রকাশও করেছেন। সাধারণত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে একটি দলে ন্যূনতম চার জন সদস্য রাখার নিয়ম রয়েছে। ফলে ওই নিয়ম মেনে রাজ্যের ৪৪ হাজার ৩৮২টি ভোটকেন্দ্রের ৬৩ হাজার ২৮৩ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। এমনকি, প্রতি ভোটকেন্দ্রে চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করাও সম্ভব নয়। কারণ, ৮২২ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ৬৫ হাজার জওয়ান এবং অফিসারকে সরাসরি ভোটের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রাজ্যে এসে পৌঁছতে না পারলে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা এক প্রকার অসম্ভব বলেই মনে করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একাংশ।

কেন্দ্রের বিশেষ ব্যবস্থা

সূ্ত্রের খবর, ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে সময় মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে তৎপর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূ্ত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে বাহিনী পাঠানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনিতে ভোটমুখী রাজ্যে মোতায়েন করার জন্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে, তারা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বার সেই রীতি মানা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, যথা সময়ে বাহিনী যাতে নির্দিষ্ট বুথে পৌঁছতে পারে, সে জন্য রাজ্যে ট্রেন ঢোকার সময়ই প্রয়োজনীয় স্টেশনে নেমে পড়বেন বাহিনীর সদস্যেরা। যেমন, খড়্গপুর দিয়ে যখন ট্রেন ঢুকবে, তখন পূর্ব বা পশ্চিম মেদিনীপুরে যাঁদের মোতায়েন করা হবে, তাঁরা সেখানে নেমে যাবেন। এতে অনেকটাই বাঁচবে সময়।

কোন জেলায় কত

৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আগেই ঘোষণা করেছিল, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীও পাঠানো হবে। সেই বাহিনী কোথায়, কী ভাবে, কত সংখ্যায় মোতায়েন করা হবে, তা চিঠি দিয়ে এ বার জানাল অমিত শাহের মন্ত্রক। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, তাদের কোথায়, কী ভাবে মোতায়েন করা হবে, তা দেখছেন আইজি (বিএসএফ)। তাঁকেই চিঠি দিয়ে জানানো হল, কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আইজি-কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ১০, বাঁকুড়ায় ১৬, বীরভূমে ২০, কোচবিহারে ১৬, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৯, দার্জিলিঙে ৪, হুগলিতে ৩৮, হাওড়ায় ২৯, জলপাইগুড়িতে ১১, ঝাড়গ্রামে ৩, মালদহে ২৩, মুর্শিদাবাদে ৪৭, নদিয়ায় ৩৩, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৬, পশ্চিম বর্ধমানে ৫, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩২, পূর্ব বর্ধমানে ৩৩, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৬, পুরুলিয়ায় ১১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৮, উত্তর দিনাজপুরে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

কোথা থেকে আসছে বাহিনী

হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই বাহিনী ভিন্‌রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে। কোন রাজ্য থেকে কত কোম্পানি বাহিনী এ রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে, তারও তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তাতে দেখা গিয়েছে, এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য অসম থেকে ৫, বিহার থেকে ৪০, ঝাড়খণ্ড থেকে ২, ত্রিপুরা থেকে ২, মিজোরাম থেকে ১, অরুণাচল প্রদেশ থেকে ৩, মহারাষ্ট্র থেকে ৫, নাগাল্যান্ড থেকে ৮, ছত্তীসগঢ় থেকে ১৫, পঞ্জাব থেকে ১০, রাজস্থান থেকে ১০, হরিয়ানা থেকে ১০, কর্নাটক থেকে ১০, গুজরাত থেকে ১২, গোয়া থেকে ৬, তামিলনাড়ু থেকে ৮, চণ্ডীগড় থেকে ২, কেরল থেকে ৮, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ২, তেলঙ্গনা থেকে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। উক্ত রাজ্যগুলির সরকারকে দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাহিনীর সদস্যেরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy