মায়ের সঙ্গে কৃতী সৌরজিৎ। —নিজস্ব চিত্র।
বয়স মেরেকেটে ১৫ বছর পেরিয়ে কয়েক মাস হয়েছে। এই বয়সেই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তার ঘাটতি চিহ্নিত করে সাড়া ফেলল শিলিগুড়ির লেকটাউনের বাসিন্দা সৌরজিৎ মজুমদার। শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সৌরজিৎ এ বার আইসিএসই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওই ছাত্র জানাচ্ছে, গত এক বছরে গুগল হ্যাকিং ডেটাবেস সেকশনে তার কিছু কাজ ও নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি মহলে ক্ষেত্রে পরিচিত কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ক্রিটিকাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোটেকশন সেন্টারের নিউজলেটারে নাম ও লেখা উঠেছে সৌরজিতের।
সম্প্রতি সে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ই-মেল করে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত অ্যাকাউন্টে কাজের পরে পুরনো ‘কুকিস’র ব্যবহার করে এবং কিছু প্রযুক্তির সাহায্যে লগআউট করা অ্যাকাউন্টে অনায়াসে যে কেউ লগইন করতে পারছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ভান্ডারে থাকা নানা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হ্যাকারেরা সাইটে এমনভাবে হানা দিতে পারে বলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায় সৌরজিৎ।
গত বুধবার ওই বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ই-মেলে যোগাযোগ করা হয় সৌরজিতের সঙ্গে। তার সাবধান বার্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিন এভারেট শিলিগুড়ির এই ছাত্রকে চিঠির শেষে তার ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন। সৌরজিৎ বলে, ‘‘আমি ইন্টারনেট, এথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে পড়াশুনো করি। মাঝে কেমব্রিজের সাইটে গিয়ে নানা তথ্য দেখার সময় বিষয়টি সামনে আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিষয়টি জানানো কর্তব্য মনে করি।’’
সৌরজিতের বাবা কল্যাণ মজুমদার রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ শাখার অফিসার। কাজেকর্মে বেশিরভাগই সময়ই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। মা মৌসুমীদেবীই দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার সামলেছেন। সৌরজিতের দাদা সর্বজিৎ দিল্লিতে পড়াশোনা করেন। মৌসুমীদেবী বলেন, ‘‘ভাল তো লাগছে। যাতে ভাল মানুষ হয়, সেটাই চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy