শুক্রবার দুপুরে রাজভবনে যান নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা। লিখিত ভাবে রাজ্যপালের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানান সাসপেন্ডেড দুই বিজেপি বিধায়ক।
শুক্রবার লিখিত ভাবে রাজ্যপালের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানান সাসপেন্ডেড দুই বিজেপি বিধায়ক।
সাসপেনশনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে গেলেন বিজেপির দুই বিধায়ক। শুক্রবার দুপুরে রাজভবনে যান নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা। লিখিত ভাবে রাজ্যপালের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানান সাসপেন্ডেড দুই বিজেপি বিধায়ক। লিখিত ভাবে তাঁরা রাজ্যপালকে জানান, বিধানসভার রাজ্যপালের বক্তৃতার দিন 'বাধাদান ও অসংসদীয়' আচরণের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। ওই দিন বাজেট বক্তৃতার সময় তাঁদের অভব্য কোনও আচরণ রাজ্যপালের নজরে এসেছে কি না, তা-ও ওই দুই বিধায়ক জানতে চেয়েছেন। তাঁদের সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন মিহির-সুদীপ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়নি বলেই রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তাঁরা। মিহির বলেছেন, "সরকারের দু'জন মন্ত্রী সহ একঝাঁক মহিলা বিধায়ক যে ভাবে রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছিলেন, তাতে তাঁদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি পরিষদীয় দলের সঙ্গে লড়াইয়ের পেরে না উঠে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাবশত সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, সোমবার বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বক্তৃতার সময় বাধাদানের অভিযোগ ওঠে। শাসক ও বিরোধী-- দুই শিবিরের বিধায়করা এই ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। বুধবার বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মিহির ও সুদীপের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনেন। সেই প্রস্তাব ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেলে স্পিকার তাঁদের চলতি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন। প্রতিবাদে তাঁরা বৃহস্পতিবার বিধানসভার লবিতে ধরনা অবস্থান করছেন। বাজেট অধিবেশনের প্রতিদিনই তাঁরা ধরনা অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, দুই বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা কম। কারণ, স্পিকার লিখিত ভাবে আবেদন জানাতে বললেও, সে ভাবে আবেদন করতে নারাজ বিজেপি পরিষদীয় দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy