—প্রতীকী ছবি।
একই ওড়নায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দুই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার জঙ্গল থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, দুই তরুণীর মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে পরিবারের আপত্তির জেরেই কি এই ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই দুই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন না কি তাঁদের খুন করা হয়েছে, তা-ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
শুক্রবার সকালে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গলে দুই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়েরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, মৃতদের একজনের নাম সুমি মুর্মু (২৫), আর একজনের নাম রচনা মান্ডি (২৩)। সুমির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের রামগড়ে। আর রচনা হুগলির গোঘাট থানার কুমারদিঘির বাসিন্দা। তাঁদের দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার আশপাশ থেকে মিলেছে ভাঙা মোবাইলের টুকরো। পুলিশ দুই মৃতের পরিবারকে খবর দিয়েছে।
সুমির দিদি লক্ষ্মী হেমব্রমের দাবি, তাঁদের এক বোনের কুমারদিঘিতে বিয়ে হয়েছে। সেখানে সুমির যাতায়াত ছিল। সেই সূত্রেই রচনার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। পর্যায়ক্রমে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। রচনা একাধিক বার তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। লক্ষ্মী বলেন, ‘‘সুমি আর রচনা বিয়েও করেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক দুই পরিবারই মেনে নেয়নি।’’ তবে দিদির বক্তব্য, সুমি আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনাই তদন্তসাপেক্ষ। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে দুই পরিবারের সঙ্গে। তবে তদন্ত কোন দিকে এগোবে তা বোঝা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy