Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মনুয়া-কাণ্ডে মিলে গেল রক্তের নমুনা

সন্দীপবাবু জানান, লোহার রডে এবং মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তের সঙ্গে অনুপমের রক্ত মিলে গিয়েছে। তার রিপোর্টও আদালতে জমা পড়ে। তাঁর বক্তব্য, রডে পাওয়া আঙুলের ছাপও মিলে গিয়েছে অভিযুক্ত অজিত রায়ের আঙুলের ছাপের সঙ্গে।

মনুয়া মজুমদার। —ফাইল চিত্র

মনুয়া মজুমদার। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৮
Share: Save:

মনুয়া-কাণ্ডে পুলিশের যুক্তিই জোরদার হচ্ছে আদালতে। ধৃত মনুয়া মজুমদারের স্বামী অনুপম সিংহ খুনের পরে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে নিহতের রক্তের নমুনা মিলে গিয়েছে বলে বুধবার আদালতকে জানালেন এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।

এ দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঘোষ। অনুপম খুনের পরে তাঁর ঘর থেকে একটি রক্তমাখা লোহার রড উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মেঝেতেও পড়েছিল রক্ত। ফরেন্সিক দল সেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। ময়না-তদন্তের সময়েও অনুপমের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।

এ দিন সন্দীপবাবু জানান, লোহার রডে এবং মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তের সঙ্গে অনুপমের রক্ত মিলে গিয়েছে। তার রিপোর্টও আদালতে জমা পড়ে। তাঁর বক্তব্য, রডে পাওয়া আঙুলের ছাপও মিলে গিয়েছে অভিযুক্ত অজিত রায়ের আঙুলের ছাপের সঙ্গে। আইনজীবীরা মনে করছেন, এর ফলে পুলিশের যুক্তি আরও পোক্ত হচ্ছে।

গত বছরের মে মাসে বারাসতে নিজের ভাড়া বাড়িতে খুন হন অনুপম। তদন্তে পুলিশের ধারণা হয়, প্রেমিক অজিতকে দিয়ে মনুয়াই খুন করিয়েছে অনুপমকে। ঘটনার কয়েক দিন পরে বারাসত থানার পুলিশ প্রথমে অজিত ও পরে মনুয়াকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকে মনুয়া বারবার জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দিয়েছে আদালত। গত অগস্টে পুলিশ এই মামলার প্রথম চার্জশিট জমা দেয়। তাতে মনুয়াকেই খুনের

‘মাস্টার মাইন্ড’ বলে উল্লেখ করে পুলিশ। তার সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তথ্য প্রমাণ-সহ রিপোর্ট পেশ করা হয়। মাস খানেক আগে মামলার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ে। তখনই পুলিশ জানিয়েছিল, আরও কয়েক জনের সাক্ষ্য নেওয়া দরকার। সেই অনুযায়ীই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছে। এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষ্য দিলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE