—প্রতীকী ছবি।
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। মোট চারটি সিমেস্টারে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন হবে। কিন্তু এতে বিড়ম্বনা বেড়েছে দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের।
আগে শুধু একাদশের ফাইনাল পরীক্ষা, টেস্ট এবং দ্বাদশের পরীক্ষার জন্য অনুলেখকের প্রয়োজন পড়ত। এখন এর সঙ্গে আরও একটি পরীক্ষা যোগ হল। টালিগঞ্জের ‘লাইটহাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’-এর অধ্যক্ষ অমিয় শতপতি জানাচ্ছেন, এই অনুলেখকের জন্য স্থানীয় স্কুলগুলিতে খোঁজ করতে হয়। একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অনুলেখক হিসেবে নবম অথবা দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগানো হয়। স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা তাঁদের স্কুল থেকে পড়ুয়া বেছে, সেই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিভাবক রাজি হলে তার পরে ওই পড়ুয়ার যাবতীয় প্রমাণপত্র উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে জমা দিয়ে সম্মতি আনতে হয়। অনুলিখনের জন্য ওই পড়ুয়াদের একটি শংসাপত্র এবং যাতায়াত খরচের টাকা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “এক বার অনুলেখক হলেই যে পরের পরীক্ষায় সেই পড়ুয়া আবার অনুলেখক হবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। সেই অনুলেখকের নিজের পরীক্ষা থাকতে পারে। শারীরিক ভাবেও কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই বার বার অনুলেখক খুঁজতে হয়। সব সময়ে তা সহজ হয় না।”
এ বার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে চারটি সিমেস্টার পরীক্ষা। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও চাপ বাড়ল বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের মত। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ জানালেন, স্কুলের ছোটখাটো পরীক্ষা পড়ুয়ারা ব্রেল পদ্ধতিতে দিয়ে থাকে। কিন্তু বড় পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনুলেখক নিয়ে পরীক্ষা দেওয়াই রীতি। তিনি বলেন, “অনুলেখক পাওয়ার সমস্যা বরাবরই রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায় সমস্যাও আরও বাড়ল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy