মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন ‘বিপন্ন’। তাঁকে সবসময় অনুসরণ করছে বিজেপি। মমতার এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, বিজেপি-র খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে অভিষেকের পাশে গুন্ডা বসাতে যাবে।
ত্রিপুরায় আহত তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীদের দেখতে সোমবার এসএসকেএমে গিয়েছিলেন মমতা। আহতদের দেখে বেরিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘অভিষেক বিমানে কোথাও গেলে, ওর পাশের পাঁচটা আসন বুক করে গুন্ডা তুলে দেওয়া হচ্ছে। অভিষেকের জীবন বিপন্ন।’’ তার জবাবে বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘আমাদের কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে বিজেপি অভিষেকের পিছনে নজর রাখবে। এটা হল কাউকে প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা।’’
অভিষেকের গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে মমতার অভিযোগের জবাবে সায়ম্তন বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তাঁকেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হয় যাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। যাঁর (পড়ুন অভিষেক) কথা বলা হচ্ছে তাঁর নিশ্চয় জীবনের তেমন ঝুঁকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাও তো আমার কাছে খবর আছে রবিবার ত্রিপুরা সরকার বুলেটপ্রুফ গাড়ি দিয়েছিল।’’
ত্রিপুরার গোটা ঘটনার জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। নইলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।’’ এর জবাবে সায়ন্তন বলেন, ‘‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপরেই থাকে। সেখানে কেন্দ্র কোনও নির্দেশ দেয় না। আর পশ্চিমবঙ্গের বাইরে, আরও ভাল করে বলতে গেলে কালীঘাটের বাইরে অভিষেকের অস্তিত্ব কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো ছাড়া তাঁর আর কী পরিচয় আছে? এক জন মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের ভুল কথা বলা উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy