অধিবেশনে পার্থের আনা নিন্দা প্রস্তাবে শাসক তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং তাপস রায় বক্তৃতা করেন। জবাব ভাষণ দেন পার্থ। তাপস বলেন, “আমরা পদ্মজা নায়ডু, গোপালকৃষ্ণ গাঁধী প্রমুখ রাজ্যপালকে দেখেছি।
দুই বিধায়কের বরখাস্তর প্রতিবাদে বিধান সভায় বিজেপি বিধায়কদের ধরণা।
রাজ্যপালের ভাষণের সময় তুমুল হইচই করে বিজেপি বিধায়কদের অধিবেশনে বাধা সৃষ্টি এবং অভব্য আচরণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নিন্দা-প্রস্তাব গৃহীত হল বিধানসভায়। ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অবশ্য বিরোধী বিজেপির বিধায়করা অংশ নেননি। তাঁরা সেই সময়ে অধিবেশন কক্ষের বাইরে গাড়িবারান্দার সিঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান।
বিধানসভায় সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভাষণের সময় বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে পুরভোটে সন্ত্রাস এবং ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ওই ঘটনার জেরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন। একই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে নিন্দা-প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করে ধ্বংসাত্মক ভূমিকা নেওয়ার জন্য আমি এই নিন্দা-প্রস্তাব এনেছি।”
বিজেপির বিধায়কেরা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে বাইরে এসে সাসপেন্ড দুই বিধায়কের সঙ্গে ধর্নায় বসেন। অধিবেশনে এ দিন বিরোধী দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা ফের স্পিকারকে ওই দুই বিধায়কের শাস্তি তুলে নিতে অনুরোধ করেন। স্পিকারের সিদ্ধান্তের অবশ্য বদল হয়নি। বিজেপি জানিয়েছে, মিহির এবং সুদীপের শাস্তি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অবস্থান চলবে।
অধিবেশনে পার্থের আনা নিন্দা প্রস্তাবে শাসক তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং তাপস রায় বক্তৃতা করেন। জবাব ভাষণ দেন পার্থ। তাপস বলেন, “আমরা পদ্মজা নায়ডু, গোপালকৃষ্ণ গাঁধী প্রমুখ রাজ্যপালকে দেখেছি। এই রকম রাজ্যপাল দেখিনি। নৈরাজ্যপাল!” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অধিবেশনের বাইরে পাল্টা বলেন, “আমরা সোমবার শিষ্টাচার মেনে বিক্ষোভ করেছিলাম। আর তৃণমূলের বিধায়কেরা রাজ্যপালকে নিগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। আমাদের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy