—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার খুনের অভিযোগ উঠল। নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল বীরভূমে। নিহত দিলীপ মাহারা বিজেপি কর্মী বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর। মহম্মদবাজারের হিংলো অঞ্চলের সেরেন্ডা গ্রামে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ছবি মাহারা নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন। প্রথমে তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি পরে তাঁকে টিকিট দেয়নি বলে দাবি। তাই নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন তিনি। স্বামীকে তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছেন বলে অভিযোগ ছবির। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রীর দাবি, ‘‘বিকেল সাড়ে ৪টের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। রাত ৮টার সময় ফোনে কথা হয়েছিল। তার পর থেকে খোঁজ ছিল না। সকালে জানতে পারি যে দেহ পড়ে রয়েছে। তৃণমূলের লোকেরা মেরেছে। আমি প্রার্থী হয়েছি পঞ্চায়েত ভোটে। তাই মেরেছে।’’ মৃতের পুত্র উৎপল মাহারা বলেন, ‘‘রাত ৯টার পর থেকে বাবার খোঁজ পাইনি। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা মেরেছে। ওঁকে গ্রেফতার করা হোক। শাস্তি চাই। তদন্ত করা হোক।’’ এর পাল্টা বীরভূমে তৃণমূলের জয়েন্ট কনভেনর কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি কর্মীর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। তৃণমূল মারামারির রাজনীতি করে না। করবেও না। ওদেরই কিছু বিষয়। তদন্ত করে দেখুক। আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নয়।’’ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্দল প্রার্থীর স্বামী উনি। ফয়দা তোলার জন্য রাজনীতি করছে বিজেপি। তদন্ত করে দেখা হোক।’’
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় একটি পুকুরের পাশে দিলীপের দেহ দেখতে পান স্থানীয়েরা। তার পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেহে রক্তের দাগ রয়েছে। শ্বাসরোধ করা হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি কর্মী এবং স্থানীয়রাও। প্রায় আট ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, বোমাবাজি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হচ্ছে। তবুও ভোটের দু’দিন আগে আবার খুনের অভিযোগ উঠল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy