রাজ্য সরকারের শান্তি বাহিনীর পাল্টা গ্রামরক্ষী বাহিনী গড়তে চায় বিজেপি। বাদুড়িয়া-কাণ্ডের পর রাজ্যের প্রতিটি থানা এলাকায় শান্তি বাহিনী গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার রাশ থাকবে প্রতি থানার ওসি-র হাতে। বিপরীতে, বিজেপি-র প্রস্তাবিত গ্রামরক্ষী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে চান দল এবং আরএসএসের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
বিজেপি এবং পরিবারের অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে শনিবার সমন্বয় বৈঠক করে আরএসএস। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বাদুড়িয়া-কাণ্ডের পর বাংলার যা পরিস্থিতি, তাতে প্রতি গ্রামে রক্ষী বাহিনী গড়ে তোলা হোক। সেই বাহিনীর হাতে আত্মরক্ষার্থে লাঠি, দা, কাটারির মতো অস্ত্রও থাকুক। এ ব্যাপারে সাহায্য করুক আরএসএস। বৃহস্পতিবার মহাজাতি সদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধু-সন্ত সম্মেলনেও অস্ত্র রাখার প্রস্তাব দেন কেউ কেউ। এ দিনই মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হুমকি, ‘‘বসিরহাটের মতো ঘটনা আরও ঘটবে।’’
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য মনে করেন, সঙ্ঘ পরিবারের ওই ‘ঘৃণ্য চক্রান্ত’ এ রাজ্যের মাটিতে সফল হবে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লাঠি-সোঁটা নিয়ে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ দখল করা যায়। কিন্তু বাংলা দখল করা যায় না। কারণ, বাংলার মানুষ শান্তির পক্ষে। যারা বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি জানে না, তারাই এ সব গুন্ডামির কথা বলে। বাংলার মানুষ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়েছে। এখন তারাই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে এবং গুন্ডামির বিরুদ্ধে লড়বে।’’ তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘গেরুয়া বাহিনী যত বলছে, তত করার মতো শক্তিই ওদের নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy