পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বিজেপি সমর্থকদের। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন তাদের নবান্ন অভিযানের উপরে ‘হিংসাত্মক আক্রমণ’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। কেন্দ্রের কোভিড সুরক্ষাবিধি মেনে এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না-করে বিজেপিকে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার কিছুই পালিত হতে দেখা যায়নি। বরং, কলকাতা, হাওড়ায় বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। বোমা পড়ে। ইট-পাথর ছোড়া হতে থাকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান প্রয়োগ করে।
পুলিশের এই ভূমিকা নিয়েই রাজ্য থেকে দিল্লি প্রতিবাদে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। সকলেরই অভিযোগ, তাঁদের ‘শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক’ আন্দোলনের উপর পুলিশ ‘বর্বরোচিত আক্রমণ’ চালিয়েছে। প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার মোমবাতি মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের নেতা-কর্মীদের মেরে ফেলার জন্য পুলিশ আক্রমণ করেছে। যে বোমা পড়েছে, তাতে অনেকে আহত হয়েছেন। সেই বোমা সম্ভবত মিছিলের আশপাশের বাড়ির উপর থেকে ফেলা হয়েছে।’’
কলকাতার একটি মিছিলে উপস্থিত কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘বোমা মেরেছে পুলিশ।’’ অভিযানের উদ্যোক্তা বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খানেরও মন্তব্য, ‘‘পুলিশ এবং পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূল কর্মীরা বোমা মেরেছে।’’
আরও পড়ুন: বিজেপির অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
এই সব প্রতিক্রিয়ারই প্রতিফলন ঘটেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্যে। নড্ডা বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের মারা, তাঁদের উপর বোমা এবং জলকামান প্রয়োগ করা থেকেই স্পষ্ট, ক্ষমতায় থাকার দিন ফুরিয়ে আসছে বুঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।’’ রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘বাংলার মানুষ বদল চাইছে বলেই ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে শাসক দল।’’
আরও পড়ুন: মণীশ খুনে আরও এক গ্রেফতার
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিজেপি-কে রাজনৈতিক দল বলে মনেই করি না। ওরা হল সন্ত্রাসবাদী। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে ওরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এখন শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু করেছে।’’ ফিরহাদের দাবি, ‘‘বিরোধী নেত্রী থাকার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সঙ্গে মানুষ থাকত। আর বিজেপির সঙ্গে আছে কিছু বহিরাগত গুন্ডা। অন্য রাজ্যের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার-সহ লোক এখানকার মিছিলে লুকিয়ে ঢোকানো থেকেই সেটা পরিষ্কার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy