শেওড়াফুলিতে বিজেপির প্রদর্শনীতে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র
ভোটের আগে উন্নয়ন তরজা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছর বনাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৬ বছর। কে বেশি উন্নয়ন করেছেন, তারই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে হুগলি জেলায় বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে। দিদির ১০ বছর বনাম মোদির ৬ বছরের কাজের প্রদর্শনীর আয়োজন করল বিজেপি। শেওড়াফুলি বিজেপি মণ্ডলের উদ্যোগে এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় শেওড়াফুলি রেল স্টেশনে রিজার্ভেশান কাউন্টারের সামনের পার্কে।
রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ড বের করেছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের নেতারা বলছেন, উন্নয়নের নিরিখে ভোট হলে দশ গোল খাবে বিজেপি। গত দশ বছরে মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যে যে কাজ করেছেন তার তুলনায় গত ৬ বছরে প্রধানমন্ত্রী কিছুই করতে পারেননি।
কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ৫ বছরেই বলেছিলেন ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। তা হলে এখন দুয়ারে দুয়ারে সরকারকে ঘুরতে হচ্ছে কেন? নীল-সাদা রং ছাড়া কোনও উন্নয়নই হয়নি। উদাহরণ দিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু সেখানে পরিষেবা পাওয়া যায় না। যুবকদের হাতে কাজ নেই। বিজেপির শেওড়াফুলি মণ্ডল সভাপতি স্নেহাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘মোদির গত ৬ বছরে ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা’ থেকে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, ‘উজ্বলা যোজনা’য় রান্নার গ্যাস থেকে করোনাকালে গরীবদের সাহায্য, কৃষক সম্মান নিধি— এ সবই করেছেন।’’
তৃনমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘নোটবন্দিতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছেন। এখন ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, বিমানের মতো সরকারি সংস্থা বেচে দিচ্ছেন। এ সবই করছেন মোদি। তাঁর ৬ বছরে ধনী আরও ধনী হয়েছে। সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জন্য প্রকল্প করেছেন। এটাই পার্থক্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy