সর্বদল বৈঠকে তৃণণূল ও বিজেপি বিধায়করা। ছবি: পিটিআই
জাল টিকা-কাণ্ড নিয়ে সর্বদল বৈঠকে সরব বিজেপি। সোমবারের বৈঠকে ওই প্রসঙ্গ তুলে, বিধানসভায় এ নিয়ে আলোচনা চেয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে জাল টিকা-কাণ্ডকেই অস্ত্র করে তুলতে চায় বিজেপি। সম্প্রতি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র টানাপড়েনের আবহ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এক সময় শোনা গিয়েছিল, বিজেপি বিধায়করা সর্বদল বৈঠক বয়কট করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায় গেরুয়াশিবিরের বেশ কয়েক জন বিধায়ককে। তবে বিধানসভায় থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা যায়নি। তিনি বিএ কমিটির বৈঠকেও ছিলেন না।
বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে শাসকদলের তরফে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, সন্ধ্যারানি টুডু, পার্থ ভৌমিক-সহ অনেকেই। তৃণমূল বিধায়কদের পাশাপাশি ওই ঘরেই দেখা যায় একঝাঁক বিজেপি বিধায়ককেও। ছিলেন দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, অম্বিকা রায়, বিমান ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তাপসী মণ্ডলরা। সম্প্রতি জাল টিকা-কাণ্ড নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে রাজ্যে। সেই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চায় বিজেপি পরিষদীয় দল। এমনটাই জানিয়েছেন নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির। আগামী ২ জুলাই শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। শেষ হবে ৯ জুলাই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, জাল টিকা-কাণ্ডকে হাতিয়ার করে বিধানসভার অধিবেশনেই পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপানোর কৌশল নিয়েছে গেরুয়াশিবির। তাই ওই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব।
সম্প্রতি পিএসি-র চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে টানাপড়েন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই ওই পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়। পিএসি-র ২০ জনের সদস্য তালিকাতেও রয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু মুকুল সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর তাতেই আপত্তি তুলেছে গেরুয়াশিবির। এ নিয়েই শাসকদলের সঙ্গে বিজেপি-র দড়ি টানাটানি চলছে। দলত্যাগবিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য সেই আবহেই গত শুক্রবার বিজেপি-র মুখ্য সচেতক বলেন, “এখনও সর্বদল বৈঠকের বিষয়ে কোনও সরকারি চিঠি আমরা পাইনি। পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য সোমবার ভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে বিধানসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy