সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
শনিবারই বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে রদবদল হয়েছে। এ বার রাজ্য বিজেপিতেও কিছু রদবদল হতে পারে। কেমন বদল হবে তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের শীর্ষ স্তরে আলোচনা হয় রবিবার। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটিতে খুব বড় কিছু রদবদল না হলেও অনেক জেলাতেই সভাপতি বদল হতে পারে। আর জেলা সভাপতি বদলের সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডল স্তরের সংগঠনেও রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সদ্যই বিজেপি যাদবপুর লোকসভা এলাকাকে নতুন জেলা হিসাবে ঘোষণা করেছে। এত দিন ওই এলাকা কলকাতা দক্ষিণ জেলার মধ্যে ছিল। ফলে যাদবপুর জেলার জন্য নতুন কমিটিও একসঙ্গে ঘোষণা হতে পারে। তবে রাজ্য সভাপতি পদে যে কোনও বদল আসছে না, তা রবিবারের বৈঠকে উপস্থিত বিজেপির সর্বভারতীয় প্রতিনিধিরা জানিয়ে দিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই দিকে তাকিয়েই কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিজেপি বেশ কিছু রদবদল করেছে। সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ গিয়েছেন সুনীল দেওধর। পাঁচের জায়গায় ছ’জন সাধারণ সম্পাদক করে আনা হয়েছে তেলেঙ্গানার সঞ্জয় বন্দি, কর্নাটকের অনিল অ্যান্টনিকে। সহ-সভাপতি পদেও এসেছে অনেক নতুন মুখ।
লোকসভা ভোটের আগে বাংলাতেও বিজেপির সংগঠন ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাছের লোক নয়, কাজের লোকেদের নিয়ে রাজ্য থেকে মণ্ডল স্তরের কমিটি বানাতে হবে। এর পরেই রবিবার বৈঠকে বসেন রাজ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় কমিটির মতো বিজেপির রাজ্য কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে কোনও রদবদলের সম্ভাবনা না-থাকলেও সহ-সভাপতি পদে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। এখন বিজেপির রাজ্য কমিটিতে এমন কয়েক জন সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন যাঁদের কাজে নেতৃত্ব খুশি নন। তাঁদের নাম বাদ যেতে পারে। আবার রাজ্য কমিটির পদাধিকারী নন, এমন অনেককে পদ দেওয়া হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি বদলের সম্ভাবনা জেলা স্তরে।
মূলত, নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা করতেই রবিবার দলের সল্টলেকের দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। সেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালবীয় এবং আশা লাকড়া। ডাকা হয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাজ্যের একমাত্র প্রতিনিধি সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জেলা ধরে ধরেও পঞ্চায়েতের ফল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অনেক জেলাতেই সভাপতিকে নিয়ে দলের মধ্যে নানা অভিযোগ ছিল। যা পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে আরও তীব্র হয়। তখন রাজ্য নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ না করলেও এখন বদল আনার কথা ভাবছে। ইতিমধ্যেই যেখানে যেখানে সভাপতি বদলের কথা ভাবা হয়েছে সেখানে পরিবর্তদের নাম নিয়েও এক প্রস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই পরিবর্তিত কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে তার আগে রাজ্য বিজেপিতে এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কোথায় কোথায় বদল হবে, কারা যাবেন, কারা আসবেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির সভাপতি বদল হতে পারে বলেও কিছু দিন ধরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সুকান্তকে সরিয়ে অন্য কাউকে আনা হতে পারে বলেও আলোচনা চলছিল। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবারের বৈঠকের শেষে এ নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতা বনসলকে প্রশ্ন করেন এক রাজ্য নেতা। জবাবে সুনীল জানিয়ে দেন, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy