সিবিআই তদন্তে চেয়ে হাই কোর্টে শুভেন্দু। — ফাইল ছবি।
শান্তিকুঞ্জের শান্তিভঙ্গের নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও গভীর অভিসন্ধি? এই প্রশ্ন তুলে আবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তুললেন সিবিআই তদন্তের দাবি। মামলা করার অনুমতির পাশাপাশি সিআরপিএফ-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার দুপুর ২টোয় মামলার শুনানি।
শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করা আছে। তাঁর আরও দাবি, স্থানীয় থানা এবং জেলার পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। এই মামলায় সিবিআই এবং কেন্দ্রকে যুক্ত করেন শুভেন্দু। মামলায় সিআরপিএফকে যুক্ত করতে বলে হাই কোর্ট।
সমস্যার সূত্রপাত, রবিবার শুভেন্দুর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে। তাতে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আয়াংশের জন্মদিন উপলক্ষে এলাহি আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে। কিন্তু দেখা যায়, সে দিন ওই হোটেলে তেমন কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। দুপুরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের ফুটবল দলের প্রশিক্ষক এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলিত হন অভিষেক। এর পরেই ভুয়ো টুইটের অভিযোগ তুলে আসরে নামে তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, শুভেন্দুর ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি’ দেখা দিয়েছে। তিনি ‘এবি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ফোবিয়া’য় ভুগছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা কামনায় যুব তৃণমূল তাঁকে অভিষেকের ছবি দেওয়া ‘গেট ওয়েল সুন’ কার্ড এবং গোলাপ ফুল পাঠাবে। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই সোমবার শুভেন্দুর বাড়ি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে গোলাপ দিতে পৌঁছে যান যুব তৃণমূল কর্মীরা। তা নিয়েই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy