দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন আফতাব। ছবি: টুইটার।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে মূল অভিযুক্ত আফতাব পুণাওয়ালাকে দিল্লির জঙ্গলে নিয়ে গেল পুলিশ। যেখানে তিনি প্রেমিকার দেহের টুকরোগুলি রোজ রাতে এসে ছড়িয়ে দিতেন, মঙ্গলবার দিনের আলোয় সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
আপাতত দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন আফতাব। হাজতে তাঁর উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে রয়েছেন আফতাব। এ ছাড়া, হাজতে তাঁকে যেখানে রাখা হয়েছে, তার বাইরে সর্বক্ষণ রয়েছে পুলিশি পাহারা। ২ জন পুলিশকর্মী হাজতের বাইরে থেকে আফতাবের গতিবিধির উপর নজর রাখছেন।
Shraddha murder case | Accused Aftab Poonawala brought to the jungle where he allegedly disposed off parts of Shraddha's body.#Delhi pic.twitter.com/pKC1ZjrV9i
— ANI (@ANI) November 15, 2022
পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তা ঘেঁটেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মোবাইল থেকেই জানা গিয়েছে, প্রেমিকাকে খুনের পর কী ভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে হয়, তা গুগ্ল সার্চ করে জেনেছিলেন আফতাব। মানবদেহ টুকরো করে কাটা নিয়েও গুগ্লে সার্চ করেছিলেন তিনি।
৬ মাস আগে লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আফতাব। তার পর তাঁর দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। মোট ৩৫টি টুকরোয় ভাগ করা হয় শ্রদ্ধার দেহ। নতুন ফ্রিজ কিনে তাতে প্রেমিকার দেহাংশ তিনি রেখে দিয়েছিলেন। প্যাকেট করে ভাল করে মুড়ে দিয়েছিলেন টুকরোগুলি।
এখানেই শেষ নয়, প্রতি দিন রাত ২টো নাগাদ ফ্রিজ খুলতেন আফতাব। প্রেমিকার দেহের টুকরো একটি একটি করে ছতরপুরের জঙ্গলে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন। পুলিশের কাছে নিজেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন আফতাব। মঙ্গলবার তদন্তের স্বার্থে তাঁকে দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ের উপর সেই জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কোথায় কী ভাবে দেহাংশ তিনি ছড়িয়ে দিতেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহাংশগুলি এখনও সেখানে রয়ে গিয়েছে কি না, আফতাবকে সঙ্গে নিয়ে তা-ও খুঁজে দেখছে দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy