Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
MNREGA

দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নার দিনেই বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে পাল্টা ধর্না শুভেন্দু অধিকারীর

সোমবার বিজেপির প্রায় ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর বিধানসভায় দরজাতেই বিধায়কদের নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন।

BJP leader Suvendu Adhikari demanded a CBI investigation by alleging corruption in 100-day work

বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ অবস্থান। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২১
Share: Save:

পূর্বঘোষণা মতো দিল্লিতে ১০০ দিনের কাজে টাকার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছে তৃণমূল। আর সেইদিনই বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগের সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন তিনি। সোমবার বিজেপির প্রায় ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা। তারপর বিধানসভার দরজাতেই বিধায়কদের নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন তিনি।

প্রথমে অভিযোগের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গান্ধী জয়ন্তীর পাশাপাশি আজ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীরও জন্মদিন। কিন্তু এখানে বিধানসভার তরফে তাঁর কোনও ছবি মাল্যদানের জন্য রাখা হয়নি।’’ এই অভিযোগের পরেই তাঁর আক্রমণের অভিমুখ ঘুরে যায় রাজ্যের শাসকদল ও তাদের দিল্লিতে সংগঠিত ধর্নার দিকে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকার তার রাজধর্ম পালন করে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। জিএসটি নিয়ে ভারতবর্ষের দু’টি রাজ্য অডিট রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গ। তা সত্ত্বেও জিএসটি সংগ্রহ হবে ধরে নিয়ে ৯০ শতাংশ জিএসটির অর্থ ভারত সরকার দিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ন্যাচারাল ক্যালামিটি ফান্ড থেকে আমপানে ৩৭৫০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তার জন্য আদালত ক্যাগকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ পেয়ে ক্যাগ তদন্ত করছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই চুরি আর দুর্নীতি হয়েছে।’’

জল জীবন মিশন থেকে শুরু করে আবাস যোজনা। শৌচালয় নির্মাণের টাকা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনায় যে অর্থ রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেউ আটকায়নি, চুরি আটকানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর জব কার্ডের সঙ্গে যখন আধার লিঙ্ক শুরু হয়, তার আগে এই রাজ্যে জব কার্ডের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৮৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫৭। কিন্তু আধারের সঙ্গে লিঙ্ক হওয়ার পর ৩০ নভেম্বর জব কার্ডের সংখ্যা হয় দু’কোটি ৫৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৩২।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘এই অল্প সময়ে এক কোটি ৩০ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫টি কার্ড বাতিল হয়।’’ এই ভুয়ো জব কার্ডের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।’’ এর জন্যই ১০০ দিনের কাজে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy