ফের সিবিআই এবং ইডি-র বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি দিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধীদের ভয় দেখাবার অভিযোগ বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারে বারেই তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ‘শহিদ দিবস’-এর মঞ্চ থেকে রবিবারও ফের সিবিআই এবং ইডি-র বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি।
গত সপ্তাহেই ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে মমতা বলেন, ‘‘শতাব্দী (সাংসদ শতাব্দী রায়) আমাকে কিছু ক্ষণ আগেই বলছিল, দিদি, লোকসভা ভোটের পর আবার ইডি ডাকতে শুরু করেছে। প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাকে ডেকেছে। আরও অনেককে ডাকবে।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘সিবিআই-ইডি লোককে ডেকে বলছে, বিজেপির অমুক লোকের সঙ্গে যোগাযোগ কর। না হলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল হতে হবে। এক জন গ্রেফতার হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের নাম বলতে হবে। সে বলেছে, জানি না, আমার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এমনই অবস্থা যে, সিবিআই, ইডি দিয়ে ভয় দেখাতে হচ্ছে।’’
তবে তাঁকে যে সিবিআই-ইডি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না, সে কথা ফের এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, ‘‘আমি তিল তিল করে তৃণমূল তৈরি করেছেন। অতএব, আমাকে সিবিআই-ইডি দিয়ে ভয় দেখালেও আমি তৃণমূল ছেড়ে কোথাও যাব না। পারলে আমাকে মেরে নিতে হবে।’’
সিবিআই প্রসঙ্গে মমতার তোলা ওই অভিযোগের জবাবে অবশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছি, কোন সিবিআই অফিসার বলেছেন, তাঁর নাম বলুন। আমরাও তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাব। কারণ, ওই কথা বলার অধিকার সিবিআইয়ের নেই! আসলে সিবিআইকে উনি মিথ্যা বদনাম করছেন।’’
মমতা এ দিন অভিযোগ করেন, তাঁর দলের বিধায়কদের টাকা বা অন্যান্য প্রলোভন দেখিয়ে কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের এক বিধায়ক আমার কছে এসেছিল। তাকে বললাম, তুমি আবার আমার কাছে কেন? তুমি তো চলে গিয়েছিলে। তোমাকে তো টাকা দিয়েছিল। সে বলল, দেয়নি, দিতে চেয়েছিল। দু’ কোটি টাকা আর একটা পেট্রোল পাম্প। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তা হলে এখন দর কষাকষি চলছে নাকি?’’ এই প্রসঙ্গেই মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘টাকা নিয়ে রাজনীতি হয় না। এ রকম করলে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। টাকা আসে, টাকা যায়। বেঁচে থাকে মানুষ, তার কাজ।’’
দিলীপবাবু অবশ্য তৃণমূলের বিধায়ক কেনার অভিযোগ নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি জানি না, ওঁর কোন বিধায়কের দাম দু’কোটি! সেই বিধায়ককে নিয়ে আসুন আমার কাছে। তৃণমূলের কোনও বিধায়ক তো বটেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আজ অত দাম নেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy