Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

সাজাহানই মূল মাথা, বলছে বিজেপি

নিহত তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার বাড়ি ভাঙিপাড়ায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ খানিকটা দূরে, রাজবাড়িতে।

উত্তেজনা: বসিরহাট হাসপাতালে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি।

উত্তেজনা: বসিরহাট হাসপাতালে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি।

নির্মল বসু
সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০০:৪২
Share: Save:

দুই বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ সাজাহানের বিরুদ্ধেই মূল ক্ষোভ বিজেপি নেতাদের। তাঁর বাহিনীই শনিবার বিকেলে আক্রমণ চালিয়েছে বলে দাবি দিলীপের। কিন্তু তা হলে তৃণমূলের একজন প্রাণ হারালেন কী করে?

নিহত তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার বাড়ি ভাঙিপাড়ায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ খানিকটা দূরে, রাজবাড়িতে। সে কথা উল্লেখ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু তৃণমূলের ওই কর্মী গোলমাল বাধাতেই অত দূর থেকে এসেছিলেন। শেখ সাজাহানের বাহিনী যখন গুলি-বোমা ছুড়ছে, বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালাচ্ছে, তখন লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তৃণমূলের ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওদের দলের কর্মীর।’’

শেখ সাহাজান ফোনে অবশ্য বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ঘটনার সময়ে আমি এলাকায় ছিলামই না।’’

পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে নিরাপত্তা।

সাজাহানের বিরুদ্ধে অবশ্য এর আগেও বিরোধীরার নানা সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। এক সময়ে সিপিএমের ঘনিষ্ঠ এই নেতা পরে যোগ দেন তৃণমূলে। সন্দেশখালির ভেড়ি এলাকায় কোটি কোটি কারবারের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই, জানাচ্ছে তৃণমূলেরই একাংশ।

শনিবার বিকেলে সন্দেশখালির গ্রামে গোলমালের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতৃ্ত্ব। তাঁদের অভিযোগ, গোলমাল শুরুর পরেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা পৌঁছয় ঘণ্টাখানেক পরে। ততক্ষণে ‘অ্যাকশন’ করে পালিয়েছে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী।

এ দিন হাসপাতালেও পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি বাধে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের। অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ এসেছিল হাসপাতালে। তাঁদের দলের কর্মী দেবদাস মণ্ডল এখনও নিখোঁজ বলে দাবি করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘যে অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ আনা হয়েছে, তা আমাদের দেখতে দেওয়া হোক।’’ পুলিশ অবশ্য তাতে আপত্তি করেনি। তবে তারা জানায়, মিনাখাঁয় একজন বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এ দেহ তাঁরই। খানিকক্ষণ বাদানুবাদ চলার পরে লকেট অবশ্য শান্ত হন। এ দিন সকালে হাসপাতাল থেকে মিছিল করে বিজেপি নেতা-কর্মীরা যান বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিসে। সেখানে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলে। সাজাহান-সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার অফিসে না থাকায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দন ঘোষ।

বিজেপির বিক্ষোভ।

সাজাহানই মূল মাথা, বলছে বিজেপি নির্মল বসু সন্দেশখালি: দুই বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ সাজাহানের বিরুদ্ধেই মূল ক্ষোভ বিজেপি নেতাদের। তাঁর বাহিনীই শনিবার বিকেলে আক্রমণ চালিয়েছে বলে দাবি দিলীপের। কিন্তু তা হলে তৃণমূলের একজন প্রাণ হারালেন কী করে? নিহত তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার বাড়ি ভাঙিপাড়ায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ খানিকটা দূরে, রাজবাড়িতে। সে কথা উল্লেখ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু তৃণমূলের ওই কর্মী গোলমাল বাধাতেই অত দূর থেকে এসেছিলেন। শেখ সাজাহানের বাহিনী যখন গুলি-বোমা ছুড়ছে, বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালাচ্ছে, তখন লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তৃণমূলের ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওদের দলের কর্মীর।’’ শেখ সাহাজান ফোনে অবশ্য বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ঘটনার সময়ে আমি এলাকায় ছিলামই না।’’ সাজাহানের বিরুদ্ধে অবশ্য এর আগেও বিরোধীরার নানা সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। এক সময়ে সিপিএমের ঘনিষ্ঠ এই নেতা পরে যোগ দেন তৃণমূলে। সন্দেশখালির ভেড়ি এলাকায় কোটি কোটি কারবারের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই, জানাচ্ছে তৃণমূলেরই একাংশ। শনিবার বিকেলে সন্দেশখালির গ্রামে গোলমালের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতৃ্ত্ব। তাঁদের অভিযোগ, গোলমাল শুরুর পরেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা পৌঁছয় ঘণ্টাখানেক পরে। ততক্ষণে ‘অ্যাকশন’ করে পালিয়েছে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী। এ দিন হাসপাতালেও পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি বাধে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের। অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ এসেছিল হাসপাতালে। তাঁদের দলের কর্মী দেবদাস মণ্ডল এখনও নিখোঁজ বলে দাবি করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘যে অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ আনা হয়েছে, তা আমাদের দেখতে দেওয়া হোক।’’ পুলিশ অবশ্য তাতে আপত্তি করেনি। তবে তারা জানায়, মিনাখাঁয় একজন বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এ দেহ তাঁরই। খানিকক্ষণ বাদানুবাদ চলার পরে লকেট অবশ্য শান্ত হন। এ দিন সকালে হাসপাতাল থেকে মিছিল করে বিজেপি নেতা-কর্মীরা যান বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিসে। সেখানে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলে। সাজাহান-সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার অফিসে না থাকায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দন ঘোষ।

ছবি: নির্মল বসু

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Sandeshkhali BJP TMC Locket Chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy