বিজেপি টাকা দিয়ে দল ভাঙাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় শনিবার ২১ জুলাইয়ের সভায় তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির কিছু নেতা টাকা নিয়ে নেমেছেন দল ভাঙাতে। আগামী দিনে বিজেপি যাতে টাকা বিলি করতে না পারে, তার জন্য নজর রাখুন। পুলিশকে বলুন। কিছু বাইরের লোক আসছেন। আরএসএস-এর নেতা হিসাবে ব্লকে ব্লকে বসে যাচ্ছেন। টাকা ছড়িয়ে দাঙ্গা বাধানো হচ্ছে। মিথ্যে কথা বলছেন। কোনও রকম দাঙ্গা, চক্রান্ত, পৈশাচিকতা করা যাবে না।’’
বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস— সব বিরোধীরা অবশ্য শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধেই দল ভাঙানোর অভিযোগে সরব। এ দিনও মমতার মঞ্চে বিজেপি-সহ বিরোধীদের ৫৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য, চার কংগ্রেস বিধায়ক, এক প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের মতো বহু জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দেন।
অন্য দিকে, রাজ্যে বিজেপির উত্থানের জন্য এ দিন ফের কংগ্রেস এবং সিপিএমকে দায়ী করেন মমতা। বলেন, ‘‘আগে যারা সিপিএমের হার্মাদ ছিল, তারাই এখন বিজেপির ওস্তাদ। তাদের সঙ্গে মিলেছে কিছু গদ্দার।’’ যার জবাবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, জঙ্গলমহলে যতগুলো মাওবাদী হার্মাদ ছিল, সামনে পিছনে নিরাপত্তা নিয়ে তারা সবাই এখন তৃণমূল। রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন।’’
এর পরেই তৃণমূল নেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ তোলায় পাল্টা জবাব দেয় বিপক্ষ শিবির। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের বক্তব্য, ‘‘টাকা ছড়াচ্ছে কারা? মেদিনীপুরে বিজেপির কর্মীরা আহত হয়েছেন। আর তিনি এক লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁদের কেনার চেষ্টা করলেন। বিজেপি টাকার রাজনীতি করে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিনের সমাবেশে বলেন, ‘‘আমরা বিজেপি নই যে কোটি কোটি টাকা দিয়ে অনুষ্ঠান করব, আর লোক নিয়ে আসব। আমাদের টাকা নেই। ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে ট্রেন ভাড়াও করতে পারিনি। আমাদের লোক আসে আবেগে।’’ তাঁর দাবি, টাকা দিয়ে কিছু লোক আনা যায়। এত লক্ষ লক্ষ লোক আনা যায় না। মমতার অভিযোগ, বিজেপি শুধু টাকাই ছড়ায় না। নানা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকাও তোলে। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা গ্যাসের পারমিট পাইয়ে দেবে বলে টাকা নিয়ে আর দেয়নি।’’
বিজেপি নেতা রাহুলবাবু আবার পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘‘আজ তৃণমূলের সমাবেশে যে টাকা খরচ হল, তা দিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ২৫টা সভা হয়ে যাবে। এ সব টাকা আসছে কোথা থেকে? কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া উন্নয়নের টাকা এ সব সভায় খরচ করা হচ্ছে। সাহস থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘২০১৯ সালের পরে তৃণমূলকে সভা করার জন্য বাড়ির উঠোন খুঁজতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy