Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভাইয়ের স্নেহ পেয়েছি, সোমনাথ-স্মরণে বিমান

বিমান বসু। —ফাইল চিত্র।

বিমান বসু। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৫
Share: Save:

লোকসভার প্রাক্তন স্পিকারের মৃত্যুর দিনে বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের উষ্মার মুখে পড়েছিলেন। তার পরে দল কেন স্মরণসভা করল না, অন্যান্য স্মরণ অনুষ্ঠানেরও কোথাও তিনি কেন গেলেন না— এ সব নানা প্রশ্নে বিতর্ক চলছিলই। শেষ পর্যন্ত স্মরণসভার মঞ্চে দাঁড়িয়েই অগ্রজ নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিলেন বিমান বসু। প্রয়াত নেতাকে ‘কমরেড’ বলে উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিলেন, দলের ভিতরের একাংশ এবং বাইরের লোকে যা-ই মনে করুক, তিনি সোমনাথবাবুকে নিজেদের লোকই ভাবেন।

মৃত্যুর আগে কয়েক বছর ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ফোরামে’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোমনাথবাবু। তাদের উদ্যোগেই শুক্রবার সন্ধ্যায় অ্যাকাডেমির সামনে রাণুছায়া মঞ্চে আয়োজন হয়েছিল ‘স্মৃতিচারণ’-এর। সোমনাথবাবুর রাজনৈতিক জীবনের গোড়ার কথা উল্লেখ করেই এ দিনের সভায় বিমানবাবু বলেন, ‘‘বড় মাপের মানুষ ছিলেন। দিল্লিতে ২০ না ২৫ বছর ঠিক জানি না, ওঁর বাংলোতেই থেকেছি। ওঁর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক উনি জানতেন, রেণুবৌদি (সোমনাথবাবুর স্ত্রী রেণু চট্টোপাধ্যায়) জানেন আর আমি জানি। ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। আমিও দাদার মতো শ্রদ্ধা করতাম।’’ বিমানবাবুর আরও মন্তব্য, ‘‘সবাই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় হয় না। কমরেড সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ব্যতিক্রম!’’

লোকসভার স্পিকার থাকাকালীন সোমনাথবাবুকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে অবশ্য বিমানবাবু যাননি। কিন্তু সোমনাথবাবুর প্রয়াণের পরে শোক-বিবৃতিতে যে পলিটব্যুরো ‘কমরেড’ উল্লেখ করেনি, সেই পলিটব্যুরোরই সদস্য হয়ে বিমানবাবু এ দিন যা বোঝানোর বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে বঙ্গ সিপিএম সূত্রের মত। শেষ জীবনেও গণতন্ত্র রক্ষায় সোমনাথবাবুর ভূমিকার কথা বলে সেই লড়াই জারি রাখার কথা বলেছেন বিমানবাবু। স্মরণসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্যও দলের ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় সোমনাথের অবস্থানের কথা বলেছেন। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

সোমনাথবাবুর বাড়িতে গিয়েই ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’ তৈরির পরিকল্পনা শোনানো হয়েছিল। ওই মঞ্চের সভাপতি, প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ, ‘‘বলেছিলেন, তোমাদের মিটিংয়ের মঞ্চ, মাইকের টাকা আমার কাছ থেকে নিও। আমরা বলেছিলাম, তা কেন! তখন বলেছিলেন, আমি এখনও রোজগার করি!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE