Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Habibpur

WB election 2021: ভালুকগ্রামের গির্জা, গেরুয়া শিবিরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আর ডার্বির ঘোড়া

ইংরেজবাজার থেকে হবিবপুর পর্যন্ত যে রাস্তা সীমান্ত পর্যন্ত এঁকেবেঁকে যায়, তা অনেকটা ইকো পার্কের পাশ দিয়ে যাওয়ার মতো।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে

স্যমন্তক ঘোষ
হবিবপুর শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১ ১৯:০৫
Share: Save:

বিকেল ৫টা। কীর্তনের আসর জমেছে ভালুকবোনা গ্রামে।

সীমান্ত দেখার এক অদ্ভুত নেশা আছে। তার চেয়েও বড় নেশা সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের দেখা। এ বারের গন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মালদহের হবিবপুর। এর আগেও হবিবপুর দেখার সুযোগ হয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পরে এই অঞ্চলে এসে বোঝা গিয়েছিল, মানুষ রং বদলাচ্ছেন। বস্তুত, ইংরেজবাজার থেকে হবিবপুর পর্যন্ত যে রাস্তা একের পর এক স্পিড ব্রেকার পেরিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত এঁকেবেঁকে যায়, তা অনেকটা ইকো পার্কের পাশ দিয়ে যাওয়ার মতো। মিশরের পিরামিড, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার, আগরার তাজমহলের এক আশ্চর্য সহাবস্থান।

ইংরেজবাজারের আধা শহুরে কেতা ছাড়ার পরেই পুরনো মালদহের গ্রামীণ রাজনীতি। পুরনো বামপন্থী চাঁই-মণ্ডল পাড়ায় গেরুয়া বাতাস ভালই গায়ে লাগে। আবার আইহোর হালদাররা এখনও ‘দিদি’র পা-ভাঙা ছবির বিশাল ফেস্টুন ক্লাবের দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছেন। ইংরেজবাজার থেকে হবিবপুরের পথে বর্ণ হিন্দু, মুসলিম, নমঃশূদ্র এবং আদিবাসী— সব রকমের মানুষ দেখা যায়। পাওয়া যায় বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদেরও। হবিবপুরের আদিবাসীদের মধ্যে আবার খ্রিস্টান রয়েছেন অনেক। দীর্ঘ দিন ধরে মিশনারিরা এখানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন। গ্রামে উন্নয়নের কাজও করেছেন। তেমনই এক গ্রামে কীর্তন শুনতে শুনতে সাংবাদিকের জ্ঞানচক্ষু বিকশিত হবে বিকেলের দিকে।

পঞ্চায়েত ভোটের পরে এই অঞ্চলে এসে বিজেপি-র যে হাওয়া দেখা গিয়েছিল, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল। একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মালদহ দক্ষিণে অতি সামান্য ভোটে হেরেছিলেন দিল্লি থেকে উড়ে আসা শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। দিল্লি ধর্ষণ-কাণ্ডের পরে আন্দোলন করে আলোকবৃত্তে এসেছিলেন শ্রীরূপা। এ বারও ইংরেজবাজারে টিকিট পেয়েছেন তিনি। যা নিয়ে বিজেপি-র ভিতরে অসন্তোষ। বিজেপি-র স্থানীয় নেতারা শ্রীরূপার নতুন নাম দিয়েছেন ‘পরিযায়ী বিজেপি’।

সেই ইংরেজ বাজারেই ভোরের দিকে চা খেতে গিয়েছিলাম রাস্তার

ধারের একটি ঝুপড়ি দোকানে। আপাতত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। হবিবপুরে সঙ্ঘের একটি স্কুল দেখাতে নিয়ে যাবেন আরএসএস-এর এক স্থানীয় নেতা। তাঁর ফোনের অপেক্ষা করতে করতেই চায়ের দোকানে যাওয়া।

শনিবারের সকালে চায়ের দোকানে মৌতাত জমেছে। এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোককে ঘিরে ধরে আড্ডা চলছে। হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদের নানা জটিল তথ্য বৈঠকি চালে বলে চলেছেন ভদ্রলোক। একাধারে গালি দিচ্ছেন তৃণমূল এবং বিজেপি-কে। তৃণমূলের ঘরপোড়া নেতাদের বিজেপি যে ভাবে আপন করেছে, তার সমালোচনা করতে করতেই তিনি বোঝাচ্ছেন, রাজনীতিতে দল বড় নয়, আদর্শই বড় কথা। সেই আদর্শের জোরে কী ভাবে তাঁরা রামমন্দির জয় করলেন, শ্লাঘার সঙ্গে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তিনি।

দোকানে হিন্দু-মুসলিম সকলেই আছেন। ভদ্রলোকের কথা সকলেই যে মেনে নিচ্ছেন এমন নয়। তর্ক, অনুতর্ক, প্রতর্ক, বিতর্ক সবই চলছে। তবে সকলেই গুরুত্ব দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। ভদ্রলোকও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিরোধী মতামত শোনার চেষ্টা করছেন।

দেড় কাপ চায়ের মাথায় ফোন বাজল সাংবাদিকের। পরিচিত আরএসএস জানালেন, গাড়ি নিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার সামনে দাঁড়াবেন তিনি।

তিন বোতল জল আর কয়েক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে গাড়ি রওনা দিল ভালুকবোনার দিকে। গাড়িতে যেতে যেতে ভদ্রলোক শোনাচ্ছেন মুসলিম অধ্যুষিত মালদহে তিন দশক ধরে কী ভাবে সংগ্রাম করে সঙ্ঘের প্রচার চালাতে হয়েছে তাঁদের। কী ভাবে ‘ঘর ওয়াপসি’র স্লোগান নিয়ে ঘুরতে হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রচারের প্রয়োজনে মিশে যেতে হয়েছে মানুষের মধ্যে। শোনাচ্ছেন কালিয়াচক, মানিকচকের গল্প। দাঙ্গার যে ব্যাখ্যা তিনি দিচ্ছেন, সাংবাদিকের কাছে তা অপরিচিত নয়। বিজেপি-র সভাতেও এ সব কথা শোনা যায়। যদিও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এর বিপরীত ব্যাখ্যা আছে।

ভালুকবোনার প্রশিক্ষণকেন্দ্রের স্কুল

ভালুকবোনার প্রশিক্ষণকেন্দ্রের স্কুল

ভদ্রলোক টানা কথা বলে চলেছেন। সাংবাদিকের দৃষ্টি সময় সময় জানলার দিকে ঘুরছে। ইংরেজ বাজার-পুরনো মালদহ সীমানায় দিগন্তবিস্তৃত আমবাগান। আইহোর মোড়। বাঁ’দিকে বাংলাদেশ সীমান্তের রাস্তা। গাদাগাদি বাজারে করোনা নিয়ে কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। টোটোয় পোস্টার লাগিয়ে রাজনীতি এবং বিউটি পার্লারের প্রচার চলছে সমান তালে। এই আইহোতেই বছর তিনেক আগে আসতে হয়েছিল ‘ছেলেধরা’র খবর করতে। ছেলেধরা সন্দেহে গ্রামের মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলেন এক যুবককে। এর কয়েক দিনের মধ্যে একই ঘটনা ঘটবে হবিবপুরে। গোটা এলাকায়

ছেলেধরার নানা কাহিনি হাওয়ায় ভাসছে। খোঁজখবর নিতে নিতে রাজনীতির গন্ধ পেয়েছিল সাংবাদিক। শুনেছিল, চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে ছেলেধরার গল্প ছড়াচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। গল্প যাঁরা ছড়াচ্ছেন, তাঁরা সকলে এলাকার লোক নন।

আইহো পেরিয়ে হবিবপুর সীমানা। তিন বছর আগে তরুণ বিডিও বাড়িতে মুরগি পুষতেন। হাওড়ার ছেলে দুপুরে খেতে খেতে গল্প করেছিলেন, ‘‘গত এক বছরে ধর্মীয় মেরুকরণ আশ্চর্য রকম বেড়েছে। হিন্দু-মুসলিম তরজা স্ফূলিঙ্গের অপেক্ষায়।’’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে কয়েকটি প্রকল্পের কথা শুনিয়েছিলেন তরুণ তুর্কি। সে সব হয়েছে কি না, খোঁজ নেওয়া হয়নি। এখনও তিনি আছেন? এ যাত্রায় জানা হয়নি।

বিডিও অফিস পেরিয়ে আরও খানিক দূর গিয়ে পিচ রাস্তা ছেড়ে গাড়ি ঢুকল গ্রামের রাস্তায়। গুগ্‌ল ম্যাপে বাংলাদেশ সীমান্ত আলপনার মতো ভেসে আছে। মুসলিম হবিবপুর থেকে গাড়ি ঢুকল আদিবাসী অঞ্চলে। মেঠো রাস্তার শেষ প্রান্তে প্রাচীন বট। গাড়ির পিছনে ধুলোর ধোঁয়াশা। গাড়ি ঘুরল ডান দিকে, আবার বাঁ দিকে। গ্রামের শেষ মাথায় বিশাল লোহার গেট। বাংলা এবং ইংরেজিতে লেখা ‘গ্রামোত্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’। বছরকয়েক আগে এই স্কুলেই নিয়ে এসেছিলেন মালদহের অন্য এক আরএসএস কর্মী। গেট দেখেই মনে পড়ল।

ভালুকবোনার গ্রামীণ চার্চ

ভালুকবোনার গ্রামীণ চার্চ

দৃশ্যতই খানিক বিমর্ষ হলেন ভদ্রলোক। তবে হাল ছাড়লেন না। আরও এক বার ঘুরে দেখতে হল স্কুল, অর্গ্যানিক চাষের জমি। সেলাই স্কুল। কাঠের কাজের ওয়ার্কশপ এবং ভ্রাম্যমান কম্পিউটার স্কুল। বিশাল বাসে কম্পিউটার শিক্ষার আয়োজন। সপ্তাহের এক এক দিন এলাকার এক এক জায়গায় ঘুরে বেড়ায় বাস।

একল স্কুলে গ্রামের বাচ্চারা নিয়মিত পড়াশোনা করে। খ্রিস্টান-মুসলিম নির্বিশেষে সরস্বতী মন্ত্র পাঠ করে পড়াশোনা শুরু করে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন একল স্কুলের সংখ্যা কয়েক হাজার। তবে মালদহের এই স্কুলের ব্যাপ্তি অন্য একলের চেয়ে অনেক বড়। স্কুলের বাইরেও এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গ্রামের মেয়েরা সেলাই, পুরুষরা কাঠের কাজ শেখেন। ২৪ ঘণ্টা গ্রামের মানুষের অবাধ যাতায়াত এই বিপুল প্রকল্পে। স্কুল দেখা শেষ করে বেরিয়ে পড়া গেল গ্রাম পরিদর্শনে। গেল বার গ্রাম দেখা হয়নি সে ভাবে।

সুদৃশ্য আদিবাসী গ্রামে সবার প্রথম চোখে পড়ে টিনের শেডওয়ালা গির্জা। গির্জা-ঘেঁষা বাড়িগুলির দেওয়াল এ বার নজর কাড়ল। দরজার উপরে অথবা পাশে মাটির দেওয়ালে ক্রস চিহ্ন। পরবর্তী মজা আরও ভয়ঙ্কর। কোনও বাড়ির দেওয়ালে মলিন ক্রসের পাশে ‘ওম’ অথবা প্রতীকী ‘প্রদীপ’। পাড়ার মাঝে

বিশাল বটগাছের পাশে বিশাল কীর্তনের তোরণ। বেলা বাড়লে নাম-সংকীর্তন শুরু হবে সেখানে। ইদানীং প্রতিদিনই হয়। গ্রামে তৈরি হয়েছে মণ্ডপও। বছরভর সপ্তাহান্তে সেখানে হরিগান হয়। গাছ থেকে গাছ পর্যন্ত টানা গেরুয়া ঝান্ডা। ভোটের কিছু দিন আগে নন্দীগ্রামে গিয়েও এই পতাকা দেখেছিলাম দিকে দিকে। চণ্ডীপুরে বসে থাকা আরএসএস-এর এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছিলেন, ভোটের বাজারে গোটা পশ্চিমবঙ্গ এই পতাকায় ঢেকে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র দিয়ে শুরু।

বাড়ির দেওয়ালে ক্রস আর প্রদীপ

বাড়ির দেওয়ালে ক্রস আর প্রদীপ

সাংবাদিকের মনের প্রশ্ন পড়তে পেরেছেন সঙ্গী আরএসএস। পিঠে হাত রেখে বললেন, ‘‘২০২২-এর মধ্যে ঘর ওয়াপসি সম্পূর্ণ হবে। গির্জার আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না। এখনই নেই বলতে পারেন। সনাতন পরম্পরায় ফেরানো হচ্ছে আদিবাসী জনমানসকে। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা কাজ করছি এখানে।’’ আচমকাই গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টাইনসের কেওনঝড়ের কথা মনে পড়ল।

বেশ কয়েক জন গ্রামের মানুষকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়নি তো? গ্রামের কিনারে রাজপ্রাসাদের মতো জেগে থাকা বিশাল স্কুলের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে তাঁরা উত্তর হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। এক জন সন্ন্যাসিনীর সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এক লাইনও লেখা যাবে না, এই শর্তে ভয়ের কথা শুনিয়েছিলেন তিনি।

কয়েক দিন আগে দেখে আসা ডুয়ার্স-তরাইয়ের কথা মনে পড়ছিল। একের পর এক চা-বস্তির দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সাংবাদিক যে গাড়িতে ঘুরছিল, তার রিয়ার ভিউ মিররে ঝোলানো ছিল একটি ক্রসওয়ালা লকেট। অথচ চালকের নাম সীতারাম ওঁরাও। তা হলে ক্রস ঝুলিয়েছেন কেন? ‘‘সে তো আগে ঝুলিয়েছিলাম। দু’বছর হল হিন্দু হয়েছি। গাড়ি থেকে লকেটটা খুলিনি। কারণ, প্রথম দিন থেকে ওটা ঝোলানো আছে।’’

হবিবপুরের ভালুকগ্রামে ফ্রান্সিস খোকন হাঁসদাও বাড়ির দরজা থেকে ক্রসটা সরাতে পারেননি। পাটকাঠির দেওয়ালে যখন প্রথম মাটি পড়েছিল, তাঁর বাবা নিজের হাতে ক্রস এঁকেছিলেন। মিশনারিদের দানেই পাটকাঠির বাড়িতে মাটি লেগেছিল। খোকন নামের শুরু থেকে ‘ফ্রান্সিস’ শব্দটি তুলে দিয়েছেন। এখন প্রতি সপ্তাহে হরিসভায় যান। কীর্তনের আসরেও।

মালদহের ভাঙন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এমন আরও বহু সামাজিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই-আন্দোলন করে চলেছেন আশি-ঊর্ধ্ব কেদার মণ্ডল। তিনি নিজে চাঁই মণ্ডল। একদা বাম আন্দোলনের নেতা আইহোয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘‘নমঃশূদ্র, চাঁই মণ্ডল, আদিবাসীদের ভোট কেন

ঘুরতে শুরু করেছে বুঝতে পারছেন? এখানে বিজেপি-র কিন্তু কোনও নেতা নেই। ভোটে লড়ার জন্য পরিযায়ী নেতা আনতে হয়। সংগঠনও তেমন মজবুত নয়। ২০১৯ সালের পর সামান্য বেড়েছে। তা-ও বিজেপি কেন ভোট পাচ্ছে বুঝতে পারছেন?’’

একল স্কুল

একল স্কুল

সম্প্রতি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর এক গবেষক পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গবেষণাপত্রে লিখেছেন, এখানে ‘সাবঅলটার্ন হিন্দুত্ব’ ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, নিম্নবর্গীয় সমাজের গেরুয়াকরণ। তাঁর কথায় যুক্তি আছে কি না ২০২১ উত্তর দেবে।

ফেরার সময় গ্রামের পথেই গাড়ি দাঁড়াল এক বার। সঙ্গী আরএসএস উল্টো দিকের বাইক-সওয়ারিকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করালেন। নেমে গিয়ে সাংবাদিককে এড়িয়ে মৃদুস্বরে কিছু আলোচনা করলেন। বাইক-সওয়ারিকে চিনতে ভুল হল না। সকালে চায়ের দোকানে ছিলেন। সঙ্গী গাড়িতে ওঠার পর জানতে পারলাম, ওই ভদ্রলোক দক্ষিণবঙ্গ থেকে এসেছেন। আপাতত মালদহে পড়ে আছেন।

সন্ধ্যায় ইংরেজ বাজারে তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, দিকে দিকে যে সামাজিক স্তরে গেরুয়া হাওয়া ঢুকে পড়েছে, সে খবর রাখেন? কীর্তন, স্কুল, ধর্ম পরিবর্তনের কথা শুনতে শুনতে সাংবাদিককে থামিয়ে দিলেন কিষাণ (‘কৃষ্ণেন্দু’ যে নামে মালদহে পরিচিত)— ‘‘ভোটের সংগঠন ওদের নেই। ২০১৯ সালে মোদী হাওয়ায় ভোট পেয়েছিল। দিল্লি থেকে পরিযায়ী নেত্রী নিয়ে এসে কি আর বিধানসভা জেতা যায়? ডার্বি ম্যাচ হবে এ বার।’’

কৃষ্ণেন্দুকে মনে করাতে হয়েছিল, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ইংরেজ বাজারে তিনি ৯০,০০০-এরও বেশি ভোটে পিছিয়ে। আর ডার্বির ঘোড়া হেরে গেলে শাস্তি হয় ‘ক্যাপিটাল’।

অন্য বিষয়গুলি:

travel Bangladesh Border Maldah Habibpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy