প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের নেতারা তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছেন না— এই অভিযোগ তুলে এর আগে ভোর থেকে দিনহাটা-১ ব্লক অফিস ঘেরাও করেছিলেন যুব তৃণমূল নেতারা। এ বার তার পাল্টা অভিযোগে মহকুমাশাসকের দফতর কার্যত অবরোধ করে রাখলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া এবং তৃণমূলেরই দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন। দলের যুব সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় টহল দেওয়ার অভিযোগ আনলেন তাঁরা।
জগদীশ বা নুর আলম, কেউই কিন্তু যুব তৃণমূলের কথা সরাসরি বলছেন না। বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে মারাত্মক অস্ত্র রয়েছে। আমাদের এক কর্মী এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন।’’ নুর আলম অভিযোগ করেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে একে ৪৭ রাইফেলের মতো অস্ত্র আছে বলে খবর রয়েছে আমাদের কাছে। পুলিশ সেই অস্ত্র উদ্ধার করুক।” এ দিন কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে দিনহাটা মহকুমাশাসকের দফতর ঘেরাও করে তাঁরা সেই অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
দিনহাটার মহকুমাশাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ জানান, তিনি অভিযোগটি পেয়ে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, দিনহাটার এসডিপিও কে উমেশ গণপত জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই ধরনের অস্ত্রের ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, “তবে সব দিকেই নজর রাখা হচ্ছে।’’
দিনহাটায় যুব বনাম তৃণমূলের লড়াই দীর্ঘদিনের। জেলায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বে সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। এ বারে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের লড়াই তীব্র আকার নিয়েছে। একে অন্যের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ তুলছে। রাতে দু’পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। দিন কয়েক আগে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লক অফিস চারদিক থেকে ঘিরে মনোনয়ন পত্র জমা দেয় যুব কর্মীরা। ওই দিন তৃণমূলের কর্মীরা ব্লক অফিসে ঢুকতে পারেননি। মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পথে গীতালদহের বাসিন্দা মাফিজার রহমান রংপুর রোডে গুলিবিদ্ধ হন। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ। নুর আলম হোসেন বলেন, “কয়েক জন দিনের বেলা যুব তৃণমূল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিচ্ছে, রাতে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এ ভাবে অভিষেকের বদনাম করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy