সরিফুল হক
ভোটের মরসুমে রক্তাক্ত হবে না উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা, এমন নজির গত কয়েক বছরে নেই। সেই তালিকাতেই যুক্ত হল রবিবারের রাত। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে, গলার নলি কেটে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ সরিফুল হক (৩০)। বাড়ি মরিচার নতুনগ্রামে। স্থানীয় একটি বিএড কলেজে কাজ করতেন সরিফুল। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁকে, অভিযোগ সরিফুলের দাদা জিয়াউল হকের। তিনি ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। তবে আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এ বার টিকিট পাননি। জিয়াউলের অভিযোগের তির স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমানের গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘ভাই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। আমাকে খুন করা হতে পারে বলে ও সাবধান করে। আর ও-ই কিনা খুন হয়ে গেল! এটা বিধায়কের লোকেরই কাজ।’’
অভিযোগ উড়িয়ে রফিকুর বলেছেন, দলের সঙ্গে যোগই ছিল না সরিফুলের। সমাজবিরোধীদের অন্তর্কলহের জেরেই খুন। সরিফুলের বিরুদ্ধে ডাকাতি-সহ নানা মামলা ঝুলছে বলে দাবি তাঁর। সে কথা অবশ্য মানছে পুলিশও। খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবারও উত্তপ্ত ছিল এলাকা। পুলিশি টহল চলছে। জিয়াউল মণ্ডল ও মফিজুর রহমান নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন বিধায়কের নাম খুনের ঘটনায় জড়াচ্ছেন জিয়াউর? দলের এক সূত্র জানাচ্ছে, এ বার টিকিট না পেয়ে এক আত্মীয়াকে মরিচা আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছেন জিয়াউল। শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। জিয়াউলের অভিযোগ, মনোনয়ন প্রত্যাহারে তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী তাঁকে চাপ দিচ্ছিল। তারই জেরে খুন হয়েছে ভাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy