Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নবান্নের বৈঠক নিয়ে মতপার্থক্য ডাক্তারদের

জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ভিন্নমতের ইঙ্গিত মেলে এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনই।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০৩:৩৬
Share: Save:

পাঁচ প্রবীণ চিকিৎসক অনুরোধ করা সত্ত্বেও শনিবার নবান্নের বৈঠকে না-যাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে। তাঁদের একাংশ মনে করছেন, সম্মানজনক শর্তে এ বার আন্দোলন শেষ করা জরুরি। তা না হলে জনমত বিরুদ্ধে যেতে পারে। এনআরএসের প্রাক্তনী তথা এসএসকেএমের নেফ্রোলজির চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরী যেমন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘‘নাটকের মতো আন্দোলনের একটা ক্লাইম্যাক্স আছে। আন্দোলন থেকে বেরনোর একটা সম্মানজনক রাস্তা বার করতে হয়। এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে মানুষ দূরে সরে যান। আন্দোলনে দূরদর্শিতা থাকতে হয়।’’

জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ভিন্নমতের ইঙ্গিত মেলে এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনই। আচমকা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে চলে যান তিনি। মিনিট কয়েক বাদে ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দশ জন জুনিয়র ডাক্তার এসেছিলেন। তাঁরা কাজে যোগ দিতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এক জন-দু’জন করে কাজে যোগ দিতে দিতে নিজেদের মধ্যে বাঁধ ভাঙবে।’’

যদিও নিজেদের মধ্যে ভাঙনের কথা অস্বীকার করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে তাঁদের দাবি, ‘‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও জুনিয়র ডাক্তার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাননি।’’

বার বার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও আলোচনায় না-আসার পিছনে রাজনৈতিক কারণ এবং কারও প্ররোচনা রয়েছে কি না, তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘নবান্নে আসা মানে সসম্মানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে আসা। তুমি ঠিক করে দেবে, সরকার কোথায় বসবে? সচিবালয়ে বসে কথা বলা যায় না? আমার সঙ্গে আলোচনা করতে না-চাইলে রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব—যে কারও সঙ্গে কথা বলুন।’’ আন্দোলনে থাকা এক চিকিৎসক সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বেসরকারি হাসপাতালে গত ১০ বছর ধরে কর্মরত।

বিভিন্ন হাসপাতালে দলে দলে চিকিৎসক গণইস্তফা দিলেও তাতে বিশেষ আমল না-দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আইনের চোখে গণইস্তফা গ্রাহ্য নয়। বরং তাঁর আবেদন, প্রবীণ চিকিৎসকরা যেন শক্ত হাতে হাল ধরেন। সে ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। রাজ্য স্বাস্থ্য রেগুলেটরি কমিশনে অভিযোগ জানানো হলে রাজ্য সরকার তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy