বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে জামিন দিল আদালত। শনিবার শাহজাহান শেখ-ঘনিষ্ঠ উত্তমকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করার পর পরই তিনি গ্রেফতার হন পুলিশের হাতে। অন্য দিকে, সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা বিকাশ গ্রেফতার হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁদের জামিন দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সন্দেশখালির যে তিন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদেরও জামিন দিল আদালত। সোমবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক জামিন মঞ্জুর করেছেন সুজয় মণ্ডল, সৈকত দাস এবং প্রদীপ মণ্ডলের।
সন্দেশখালিতে উস্কানি দেওয়া, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভে অংশ নিতে বলা, অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দেওয়া এবং সর্বোপরি বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তৃণমূল নেতা শিবুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে সন্দেশখালি এবং বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ যৌথ ভাবে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ককে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুরে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সিপিএম নেতৃত্ব। বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সন্দেশখালিতে উত্তেজনা সৃষ্টি, হামলা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১১৭ জনের নামে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে সিপিএম। তাদের এসপি অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। অন্য দিকে, সন্দেশখালির সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালকে সামনে পেয়েই গ্রামের মানুষ তাঁর পায়ে ধরে আবেদন করেন যে, তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা, শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার এবং তাঁদের অনুগামীদের হাত থেকে যেন তাঁদের রক্ষা করা হয়। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তাঁরা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। অন্য দিকে, শিবুকে এখনও খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy