Advertisement
E-Paper

পুরনো শত্রুতার জেরেই কি খুন শিশু

মূল অভিযুক্তের কাকিমাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে, ভাসুরপোই শিশুটিকে খুন করেছে। ধর্ষণও করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই মহিলা।

শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছিল একরত্তি মেয়েটির দেহ।

শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছিল একরত্তি মেয়েটির দেহ। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৯
Share
Save

পারিবারিক বিবাদের জেরেই ন’বছরের শিশুকন্যাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে শনিবার এ কথা জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃত দু’জনকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “মৃত শিশুর পরিবার তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে।” মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে পরিবার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছিল একরত্তি মেয়েটির দেহ। বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। শুক্রবার মেলে দেহটি। পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন বিকেলেও মেয়েটির বাবা ও পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করেছিল মূল অভিযুক্ত যুবক।

পুলিশ জানায়, পেশায় দিনমজুর ওই যুবক গ্রামের মহিলাদের উত্যক্ত করত, শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছিল আগে। ধর্ষণের চেষ্টা, মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল তার।

মূল অভিযুক্তের কাকিমাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে, ভাসুরপোই শিশুটিকে খুন করেছে। ধর্ষণও করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই মহিলা। খুনের পরে দেহ মাটির মেঝেতে পুঁতে রেখেছিল যুবক। কিন্তু বাড়ির সকলে কেন মুখ বুজে ছিলেন? ধৃত মহিলার দাবি, তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত।

মেয়েটির বাবা এ দিন বলেন, “ওদের আমার উপরে কোনও ক্ষোভ থাকলে আমাকেই মারতে পারত। ছোট মেয়েটা কী ক্ষতি করেছিল?’’ শিশুটির মায়ের কথায়, “মেয়েটাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করছিলাম। যারা ওকে কষ্ট দিয়ে মারল, তাদের কঠোর শাস্তি চাই।”

Child Murder basanti

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}